Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
রাজ্যের রিপোর্ট তলব

কোর্ট এখনই হস্তক্ষেপ চায় না বসিরহাটে

রাজ্য সরকার এ দিন আদালতে জানায়, ওই দু’টি এলাকার সাম্প্রতিক ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩২টি মামলা দায়ের হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৬ জনকে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ০৩:৪৬
Share: Save:

বাদুড়িয়া-বসিরহাটের গোলমালের ঘটনায় এখনই আদালতের কোনও রকম হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় বলে মনে করছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্ট বুধবার জানিয়ে দিয়েছে, কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে তা বন্ধ করতে হবে। হাইকোর্ট একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার ওই দুই জায়গায় সাম্প্রতিক ঘটনার মোকাবিলায় কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার সবিস্তার রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

রাজ্য সরকার এ দিন আদালতে জানায়, ওই দু’টি এলাকার সাম্প্রতিক ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩২টি মামলা দায়ের হয়েছে। সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৬ জনকে।

বাদুড়িয়া-বসিরহাটের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে কয়েক দিন আগে জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের হয়। অন্য একটি সংগঠনের পক্ষ থেকেও পৃথক মামলা দায়ের করে হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানানো হয়, কী কারণে গোলমাল, তা তদন্ত করে দেখার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে নির্দেশ দেওয়া হোক। এ দিন একত্রে ওই দু’টি মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে।

আরও পড়ুন: অধিকারী ‘গড়ে’ শিশিরকে ধমক মমতার

জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী তাঁর সওয়ালে জানান, বাদুড়িয়া-বসিরহাটের গোলমাল নিয়ে রাজ্যপাল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান আইনজীবী। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত আদালতে জানান, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সৌমিত্র পালের নেতৃত্বে একটি কমিশন গড়েছে। ওই কমিশনকে বসিরহাটের ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তা শুনে বিচারপতি মাত্রে বলেন, ‘‘এই অবস্থায় এখনই আদালতের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। ওই কমিশনকে তাদের কাজ করতে দেওয়া হোক।’’

জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, বাদুড়িয়া-বসিরহাটের বাসিন্দারা এখনও আতঙ্কে ভুগছেন। ওই ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারপতি মাত্রে ওই আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে পুলিশ রয়েছে। তারাই ব্যবস্থা নেবে।’’ ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, কমিশন গঠন নিয়ে রাজ্যের গেজেট বিজ্ঞপ্তি ২১ জুলাই, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে পেশ করতে হবে।

গোলমালের ঘটনার তদন্ত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে করানোর দাবি সংক্রান্ত মামলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য কী, তা জানতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বক্তব্য জেনে তিনি আদালতকে জানাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE