বিজেপিকে সরিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সরকার চাই। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনে কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি নির্বাচনী সমঝোতার ডাকও পার্টি কংগ্রেস থেকে দিয়েছে সিপিআই। কিন্তু সেই দলেরই রাজ্য নেতৃত্বের ধারণা, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে বামেদের কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই কংগ্রেসের ভরসায় না থেকে বামপন্থী আন্দোলনের জোর বাড়ানোর পক্ষেই সওয়াল করল রাজ্য সিপিআই। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অবশ্য জানাচ্ছেন, বাম শরিকদের কথা শুনে সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা থেকে আবার সরে দাঁড়াবে কি না, তা সিপিএমকেই ঠিক করতে হবে।
রাজ্যে তৃণমূলের ‘তাণ্ডবে’ সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি বলে সিপিআইয়ের রাজ্য পরিষদের দু’দিনের বৈঠকে মত উঠে এসেছে। তৃণমূলকে ঠেকাতে বাম কর্মীদের মধ্যে যে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ এসেছে। তার পাশাপাশিই কংগ্রেস নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েতে আনুষ্ঠানিক জোট ছিল না। কিন্তু তাতেও বা অন্য উপনির্বাচনে দেখা গিয়েছে, বামপন্থীরা কংগ্রেসকে ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু কংগ্রেসের ভোট সে ভাবে বামেদের দিকে আসছে না।’’ কিন্তু তাঁদের পার্টি কংগ্রেসে তো কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি সমঝোতার সিদ্ধান্ত হয়েছে? স্বপনবাবু বলেন, ‘‘জাতীয় স্তরের জন্য সেই সিদ্ধান্ত। তবে রাজ্যওয়াড়ি আলাদা পরিস্থিতিও আছে।’’
ফরওয়ার্ড ব্লকের পরে আর এক বাম শরিক সিপিআইও ভিন্ন সুর নেওয়ায় ক্ষুব্ধ অধীরবাবু। বিধান ভবনে এ দিন ইফতার আসরের অবসরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘মহেশতলায় সিপিএমই আমাদের সমর্থন চেয়েছিল। পার্টি কংগ্রেসে সীতারাম ইয়েচুরিরা যেটুকু ঢাক ঢাক গুড়গুড় করেছেন, ডি রাজারা সেটাই সরাসরি বলেছেন। তার পরে আবার এখানে এ সব কথার কী মানে আছে, জানি না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy