বামফ্রন্টের নিয়ন্ত্রণ সিপিএমের হাতে। যে কোনও সমস্যায় তাদের সঙ্গে বাম শরিকদের আলাদা দ্বিপাক্ষিক আলোচনাই বরাবরের রেওয়াজ। কিন্তু এ বার লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেস-প্রশ্নে বিতর্ক মেটাতে পরস্পরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছে বামফ্রন্টের চার শরিক সিপিএম, সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি। আগামী সপ্তাহে সিপিআই-ফ ব বৈঠকের মাধ্যমেই এই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে।
দলের মধ্যে বিস্তর বিতর্কের পরে হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেসে সিপিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপির মোকাবিলায় কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতার রাস্তা খোলা রাখার। তার পরে মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সিপিএমকেই সমর্থন করে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পরে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার নীতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে দুই বাম শরিক ফ ব এবং সিপিআই। তাদের বক্তব্য, বামেদের ভোট পেয়ে কংগ্রেস লাভবান হচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেসের ভোট বামেদের বাক্সে ঠিকমতো আসছে না। আর কংগ্রেসকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে সিপিএম শরিকদের প্রকৃত মর্যাদা দিচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতেই চার বাম দলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উদ্যোগী হয়েছেন মূলত ফ ব নেতৃত্ব। সিপিএম নেতৃত্বকেও তাঁরা এই প্রস্তাব দিয়েছেন। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক সেরে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা কলকাতায় ফিরে সিপিএম এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে বলে বাম সূত্রের খবর।
তিন বাম শরিক ছাড়াও বাম ঐক্য মজবুত করার লক্ষ্যে তাঁরা এসইউসি ও সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের সঙ্গেও আলাদা আলোচনায় বসবেন বলে ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য। আর এ সবের মধ্যেই পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২০ জুন প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন নরেনবাবুরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy