বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।
দলের চেষ্টা সত্ত্বেও প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী ও ঘনিষ্ঠ সতীর্থ নিরুপম সেনের স্মরণসভায় তিনি আসেননি। এ বার ব্রিগেড সমাবেশে অন্তত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বার্তা নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএম। চেষ্টায় ফল মিললে তাঁর লিখিত বার্তা মঞ্চে পড়ে দেওয়া হবে।
একে দৈনন্দিন রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন বুদ্ধবাবু, সেই সঙ্গেই আছে শারীরিক অসুবিধা। তবে সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্যে দলের এখনকার নেতাদের মধ্যে জন-আকর্ষণের দিক থেকে বুদ্ধবাবুই এখনও এক নম্বরে। লোকসভা ভোটে বামেদের যেখানে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই, তার আগে ব্রিগেড থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করতে পারে। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য উদাহরণ দিচ্ছেন, ‘‘জ্যোতি বসুর শরীরও খুব ভাল ছিল না তখন। তবু দলের অনুরোধে ২০০৮ সালের জানুয়ারির ব্রিগেডে জ্যোতিবাবু এসেছিলেন। বলেছিলেন, এত মানুষ এসেছেন, আমি না এসে পারলাম না। বুদ্ধদা ধুলোয় বেরোতে না পারলেও তাঁর বার্তা পেলে দলের লড়াই আরও শক্তি পাবে।’’
কলকাতায় সাংগঠনিক প্লেনাম উপলক্ষে ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর শেষ বার ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল সিপিএম। সেই মঞ্চে সভাপতি ছিলেন বুদ্ধবাবু। সাড়ে তিন বছর পরে এ বারের ব্রিগেড ‘সফল’ করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বামেরা। সিপিএমের রাজ্য ও জেলা স্তরের সব নেতাই রাস্তায় নেমে সমাবেশের জন্য চাঁদা তুলছেন। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের যে সব এলাকায় গত ৭ বছরে সিপিএমকে তেমন ভাবে বাজারে-দোকানে দেখা যায়নি, সেখানেও এ বার তারা সক্রিয়। রাস্তায় চাঁদা তুলতে নেমেই রবিবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘‘সমাবেশে আসতে বাধা দিলে প্রতিরোধ হবে।’’ তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘সিপিএমের ব্রিগেড ফ্লপ হবে! ওই জন্য আগে থেকে নানা রকম গান গাওয়া হচ্ছে!’’
আরও পড়ুন: মোদীর জন্য অন্য মাঠ, জট কাটল না শাহের সভা নিয়ে
ব্রিগেডের জন্য লেক মার্কেটে চাঁদা তুলছেন বিমান বসু।নিজস্ব চিত্র।
আমন্ত্রিত হলেও ৩ ফেব্রুয়ারি অন্যত্র পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান থাকায় ব্রিগেডে আসতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন শাবানা আজমি। তবে ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার থাকছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy