—ফাইল চিত্র।
রাহুল গাঁধীর তোলা ‘চৌকিদার চোর’ স্লোগান ইতিমধ্যেই তারা ব্যবহার করছে। এ বার রাফাল-প্রশ্নে কংগ্রেসের সঙ্গে পথে নেমে যৌথ প্রতিবাদেও তাদের আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিল বঙ্গ সিপিএম। কংগ্রেসের মতোই আর এক বিরোধী দল সিপিএমও মনে করছে, এ যাবৎ কালের মধ্যে রাফাল-কাণ্ডই সব চেয়ে বড় কেলেঙ্কারি।
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যক্কারজনক আচরণে’ সিবিআইয়ের মধ্যে ডামাডোলের ঘটনার প্রতিবাদে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে পরপর দু’দিন দু’দলই বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সিবিআইয়ের অধিকর্তা অলোক বর্মা রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার ‘আতঙ্কিত’ হয়ে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে, এই অভিযোগে সরব হয়েছে দু’দলই। এ সবের জেরেই প্রশ্ন উঠেছে, এর পরে কি কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে যেতে পারে সিপিএম? দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বুধবার বলেন, ‘‘আপত্তির তো কিছু নেই। এমন একটা দুর্নীতির ঘটনার প্রতিবাদে পথে একসঙ্গে প্রতিবাদ বা যৌথ আন্দোলন হতেই পারে। প্রস্তাব পেলে নিশ্চয়ই আমরা ভাবব।’’ সুজনবাবু মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার লুঠ করা টাকা ফেরানোর দাবিতে বা সদ্য শহিদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের ধর্না-অবস্থানেও সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা এক মঞ্চে গিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও বলে রেখেছেন, রাফাল বা সিবিআই নিয়ে প্রতিবাদে সিপিএমকে তাঁরা ‘সহযোদ্ধা’ হিসেবেই দেখছেন।
রাফালের মতো দুর্নীতি-অস্ত্র পেয়েও তৃণমূল কেন নীরব, সেই প্রশ্নও এ দিন তুলেছেন সুজনবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘এই নীরবতার মানে কি ভয়? সারদা বা নারদ তদন্ত নিয়ে এখন আবার নাড়াচাড়া হচ্ছে বলেই কি শাসক দল চুপ?’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদিও ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাঁরা অবশ্যই ‘পাহাড়়প্রমাণ’ দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তবে যে সব বিষয় আম জনতাকে সরাসরি ভোগান্তির মুখে ফেলছে, সেগুলোর প্রতিবাদই তাঁদের কাছে অগ্রাধিকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy