ছবি: পিটিআই।
আশঙ্কা ছিলই। বাস্তবে হলও তাই। ঘূর্ণিঝড় আমপান কার্যত লণ্ডভন্ড করে দিল রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবাকে।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, বুধবার আমপান স্থলভূমিতে পুরোদমে আছড়ে পড়ার পরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ আশেপাশের কয়েকটি জেলায় অসংখ্য গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি এবং টাওয়ার পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তার ছিঁড়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ পরিষেবায় জোর ধাক্কা লেগেছে কলকাতায় সিইএসসি ও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন এলাকাতেও। রাত পর্যন্ত জেলা ও কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল অন্ধকারেই ডুবে থেকেছে। দফতরের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ঝড়ের তীব্রতায় তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা আটকাতে, সে জন্য প্রশাসনের আগাম নির্দেশে বহু জায়গায় গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ আগে থাকতে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
বিদ্যুৎ ভবনের খবর, ঝড়ের দাপটে এবং রাস্তায় গাছ পড়ে থাকার কারণে বহু জায়গাতেই বিদ্যুৎ কর্মীরা এ দিন লাইন সারানোর কাজে যেতে পারেননি। সব লাইন সারিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ কর্তারা।
বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, আমপানের তীব্রতায় পুরো দক্ষিণবঙ্গেরই বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। ঝড় কমার পরেই কাজে হাতে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাতে কর্মীরাও সুরক্ষিত থেকে কাজ করতে পারেন। শোভনদেববাবু জানান, ঝড় কমলে আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাইন সারাই শুরু হবে।
আমপানের দাপটে এ দিন বিকেলের পর থেকে সিইএসসি এলাকাতেও একই ভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। বহু জায়গায় লাইনের উপরে গাছ পড়ে যায়। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল অন্ধকারে ডুবে যায়। রাত পর্যন্ত অনেক জায়গায় আলো ছিল না। সিইএসসি-র কর্মীরা বহু জায়গায় রাতেই লাইন সারানোর কাজ করেন বলে খবর।
বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্তা জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম সব ব্যবস্থা নেওয়া ছিল। কিন্তু ঝড়ের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। খুব জরুরি কিছু পরিষেবাকে টিকিয়ে রাখা ছাড়া অন্য কিছুই করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy