Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ট্রেনে অভিযান, পাল্টা বিক্ষোভ নিত্যযাত্রীদের

বর্ধমান স্টেশন সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮.৩৫ মিনিটে বর্ধমান হাওড়া কর্ড লাইন সুপার ছাড়ে। কোথাও না থেমে ট্রেনটি টানা হাওড়া যায়। এই ট্রেনের বেশির ভাগই নিত্যযাত্রী। তাঁরা প্রতিদিন আগে গিয়ে ব্যাগ, রুমাল, তাস ফেলে রেখে জায়গা দখল করে রাখেন বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:১০
Share: Save:

জানালা দিয়ে ব্যাগ বা রুমাল ফেলে জায়গা দখল, ট্রেনের মধ্যে তাসের আসর বসানো, নিত্যাযাত্রীদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে বারবার। বুধবার তা খতিয়ে দেখতেই বর্ধমান-হাওড়া কর্ড লাইন সুপার ট্রেনে হানা দেয় রেল পুলিশ। জোর করে জায়গা রাখা, অন্য যাত্রীদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পাল্টা প্রতিবাদে বর্ধমান স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালেন নিত্যযাত্রীরা। বিক্ষোভের ফলে বেশ কিছুক্ষণ দেরিও হয় ট্রেন চলাচলে।

বর্ধমান স্টেশন সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৮.৩৫ মিনিটে বর্ধমান হাওড়া কর্ড লাইন সুপার ছাড়ে। কোথাও না থেমে ট্রেনটি টানা হাওড়া যায়। এই ট্রেনের বেশির ভাগই নিত্যযাত্রী। তাঁরা প্রতিদিন আগে গিয়ে ব্যাগ, রুমাল, তাস ফেলে রেখে জায়গা দখল করে রাখেন বলে অভিযোগ। ফলে অন্য যাত্রীরা বসার সুযোগ পান না। এমনকি, প্রতিবাদ করলে নিত্যযাত্রীরা সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। রেল পুলিশের দাবি, এ নিয়ে লাগাতার অভিযোগ পাওয়ায় বুধবার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। অভিযানে পাপ্পু সিংহ নামে রথতলার বাসিন্দা এক যুবককে গ্রেফতারও করে আরপিএফ। ওই দিনই তিনি জামিনও পেয়ে যান। এরপরেই এ দিন রেলপুলিশ তাঁদের হেনস্থা করছে এই অভিযোগ তুলে স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান বর্ধমান হাওড়া কর্ড লাইন সুপারের নিত্যযাত্রীরা। রেললাইনে নেমেও পড়েন তাঁরা। তাঁদের দাবি, নানা অজুহাতে আরপিএফ নিত্যযাত্রীদের হেনস্থা করছে। ঘটনার খবর পেয়ে রেলপুলিশের কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন। ১৫ মিনিট দেরিতে বর্ধমান হাওড়া কর্ড লাইন সুপার বর্ধমান স্টেশন ছেড়ে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়।

ওই ট্রেনের যাত্রী মৌমিতা সেনের অভিযোগ, ‘‘যত সকালেই আসি না কেন জায়গা পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। কারণ জায়গা আগে থেকেই দখল হয়ে যায়।’’ তাঁর দাবি, অনেক সময় গেটের বাইরেও নিত্যযাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকেন। ট্রেনে উঠতে গেলেই তাঁরা বলে দেন অন্য কামরায় যেতে। একই অভিযোগ ট্রেনযাত্রী তথাগত চট্টোপাধ্যায়, রাজশ্রী মহন্তদেরও। তাঁদের দাবি, নিত্যযাত্রীদের দাপট থেকে বাঁচতে অনেক সময়েই এই ট্রেনের বদলে অন্য ট্রেন ধরেন তাঁরা।

বর্ধমান আরপিএফের এক কর্তা রজত রঞ্জন বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এই বিষয়ে বহু বার অভিযোগ এসেছে। তাই অভিযান করা হয়। যাত্রী পরিষেবার কথা মাথায় রেখে আগামী দিনেও অভিযান চালানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE