মাটির বাঁধ ভেঙে প্লাবিত ঘোড়ামারা দ্বীপ। ছবি: দিলীপ নস্কর
পূর্ণিমার ভরা কোটালে বিপদ যতটা হতে পারে ভাবা গিয়েছিল, তেমনটা হয়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশির ভাগ বাঁধই অটুট। তবে রায়দিঘি এবং সাগরের ঘোড়ামারায় কিছু অংশে মাটির বাঁধ জলে ধুয়ে গিয়েছে। এখনও কিছু এলাকা জলমগ্ন। উত্তর ২৪ পরগনায় হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, সন্দেশখালিতে কোটালের জলে কিছু জায়গায় বাঁধ ভেঙেছিল শনিবার। রবিবার দুই জেলার কোথাও নতুন করে বাঁধ ভাঙার খবর মেলেনি। কিছু কিছু এলাকায় মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেচ দফতর। রবিবার হিঙ্গলগঞ্জে এসেছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।’’
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘোড়ামারা পঞ্চায়েত এলাকার বহু মানুষের পরিস্থিতি অবশ্য খারাপ। লোহাচড়া ও হাটকোলা গ্রামের কাছে হুগলি নদী বাঁধ ভেঙে নোনা জলে ঢুকে ক্ষতি হয়েছে বেশ কিছু পান বরজ, কৃষি জমি ও মাছের পুকুরের। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বহু বছর ধরে একটু একটু করে নদী বাঁধ ভেঙে এগিয়ে আসছে গ্রামের দিকে। অনেকেরই বাড়িঘর, জমি পুকুর তলিয়ে গেছে নদীতে। কাকদ্বীপ সাব ডিভিশনের সেচ দফতরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র কল্যাণ দে বলেন, ‘‘ওই এলাকায় চারটি জায়গা মিলিয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার রিং বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের কাজের কোনও জায়গা থেকে জল ঢোকেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy