স্বামীর সঙ্গে সঙ্গীতা দাস। ফাইল চিত্র
পুড়িয়ে মারবে জানলে ঘর করতাম না। শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে এ কথা বলেছিলেন বলে সোমবার জানালেন বাগুইআটি-কাণ্ডে অগ্নিদগ্ধ বধূর মা সন্তোষী চক্রবর্তী।
গত ২৬ অক্টোবর বাগুইআটির আদর্শপল্লির ভাড়া বাড়ি থেকে সঙ্গীতা দাসের (২২) অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মালদহের বাচামারির বাসিন্দা সঙ্গীতা মারা যান।
এই ঘটনায় মৃতার স্বামী, শাশুড়ি এবং আরেক তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিন মৃতার মা সন্তোষী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পণের জন্য ওকে যে মারধর করত তা কোনও দিন মুখ ফুটে বলেনি। স্বামীর সঙ্গে অশান্তি নিয়ে যা বলত সে তো সব সংসারেই হয়! স্বামীর চাপে কাকাদের কাছ থেকে বেশ কয়েক বার টাকা নিয়েছে তা-ও এখন জানতে পেরেছি। এই কথাগুলো আগে কেন কেউ বলল না! হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেও অমর আমার মেয়েকে শাসিয়ে গিয়েছে। মেয়েকে ফিরে পাব না। কিন্তু ভিডিয়ো বার্তায় যাদের নাম বলেছে তাদের যেন চরম শাস্তি হয়।’’
পাড়ার মেয়ের অকাল প্রয়াণে মন ভাল নেই বাচামারির। শেষ মুহূর্তে পুজো বাতিল করা সম্ভব নয়। তবে আলোর উৎসবে শামিল হচ্ছেন না বেশিরা ভাগ প্রতিবেশীই। দোষীদের শাস্তির দাবিতে শামিল তাঁরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy