অমরনাথ সাউ
চুঁচুড়ার পরে চাঁপদানি। মাসখানেকের ব্যবধানে হুগলিতে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল আরও এক জনের।
চাঁপদানির ২২ নম্বর ওয়ার্ডের অ্যাঙ্গাস খানপুকুর এলাকার বাসিন্দা, অমরনাথ সাউ (৩৬) নামে ওই যুবক রিষড়া দমকলকেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। গত ২১ অক্টোবর জ্বর নিয়ে তিনি বাড়ি ফেরেন। সে দিনই তাঁকে চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরের দিন তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার রাতে অমরনাথ মারা যান। হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। রিষড়া দমকলকেন্দ্রের চার কর্মীও বর্তমানে জ্বরে আক্রান্ত। অমরের স্ত্রী জ্যোতি মনে করছেন, ‘‘এক দিকে বাসস্থান, অন্য দিকে কর্মস্থলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণেই স্বামীর মৃত্যু হল।’’
ডেঙ্গি-রোধে বছরের গোড়া থেকেই পুরসভাগুলিকে তৎপর হতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো হুগলির পুরসভাগুলি কাজেও নামে। কিন্তু ১৬ সেপ্টেম্বর চুঁচুড়ার ধরমপুরের এক বৃদ্ধা কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ডেঙ্গিতে মারা যান। তখনই ডেঙ্গি-প্রতিরোধ কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এ বার দমকলকর্মীর মৃত্যুতে সেই প্রশ্ন জোরালো হল। আতঙ্কও ছড়িয়েছে অ্যাঙ্গাস খানপুকুর এলাকা এবং ওই দমকলকেন্দ্রে।
মৃতের খুড়তুতো দাদা সন্তোষ সাউয়ের ক্ষোভ, ‘‘পুর পরিষেবা ঠিকমতো মেলে না। নিয়মিত নালা পরিষ্কার না-হওয়ায় নোংরা জল উপচে ঘরে ঢোকে। মশার উপদ্রব বাড়ছে। জানানো সত্ত্বেও পুরসভা গুরুত্ব দেয় না। ভাই-ই ছিল বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী।’’ বেহাল নিকাশি নিয়ে একই রকম ক্ষোভ ওই এলাকার বাসিন্দাদের। চাঁপদানির পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্রের দাবি, ‘‘ডেঙ্গি রোধে পুরসভা সব রকম ব্যবস্থা করেছে। অ্যাঙ্গাস খানপুকুর এলাকার একাংশ স্থানীয় জুটমিলের আওতায় রয়েছে। জুটমিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’’ রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয় মিশ্রও বলেন, ‘‘ডেঙ্গি রোধে সব ব্যবস্থাই পুরসভা করেছে। আরও কোনও পদক্ষেপ করার থাকলে অবশ্যই করব। ওই দমকলকর্মীর শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু কোথা থেকে এল, তা নিশ্চিত করা দরকার। সংশ্লিষ্ট দফতরের পরামর্শ নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy