দেবযানী মুখোপাধ্যায়
গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রায় সাত বছর আগে। জামিন পেতে এই প্রথম কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বেআইনি লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৯ নম্বর ধারাকে হাতিয়ার করেছেন তিনি।
দেবযানীর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানান, সিবিআই তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারায় মামলা করেছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে সরকারি আধিকারিকেরা যদি নয়ছয় করেন, তা হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। ‘‘কিন্তু দেবযানী তো আর সরকারি অফিসার নন! এ কথা জানিয়েই আমরা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চে জামিনের আবেদন করেছি,’’ বলেন অয়নবাবু।
এই আবেদনের ভিত্তিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে হাজির থাকার জন্য বিচারপতিরা বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে এই ৪০৯ নম্বর ধারাতেই মামলা করায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। দেবযানীর আইনজীবী জানান, ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীরের শোনমার্গ থেকে সুদীপ্তের সঙ্গে দেবযানীকে গ্রেফতার করে কলকাতায় আনা হয়।
সেই থেকে তাঁরা জেলে আছেন। সিবিআই তাঁদের বিরুদ্ধে ৪০৯ ছাড়া আর যে-সব ধারায় মামলা করেছে, তাতে বড়জোর সাত বছর কারাবাসের সংস্থান আছে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে। ইতিমধ্যেই ছ’বছর ১০ মাস জেল খাটা হয়ে গিয়েছে দেবযানীর।
হাইকোর্টে আবেদনে আইনজীবীর আরও যুক্তি, সিবিআই দেবযানীর বিরুদ্ধে যে-তিনটি মামলা করেছিল, তার মধ্যে আরসি৪ (রেগুলার কেস) এবং আরসি৫-এ দেবযানী ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। বাকি রয়েছে আরসি৬। অয়নবাবুর অভিযোগ, এই মামলায় ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর শেষ বার জেলে গিয়ে তাঁর মক্কেলকে জেরা করেছিল সিবিআই। তার পরে তাঁকে এই মামলায় আর জেরা করা হয়নি। শুরু হয়নি এই মামলার বিচার।
আরসি৬-এ জামিন মিললে দেবযানী কি জেল থেকে ছাড়া পাবেন? অয়নবাবু জানান, সিবিআই ভুবনেশ্বরে এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গুয়াহাটিতে দেবযানীর বিরুদ্ধে একটি করে মামলা করে রেখেছে। আপাতত বাড়ি ফিরতে হলে দেবযানীকে ওই সব মামলাতেও জামিন পেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy