শোকার্ত পরিবার। ইনসেটে, নিহত নবকুমার হাইত। ছবি: সুব্রত জানা।
টহলদারির সময় দুষ্কৃতীদের হাতে স্বামীর খুনের ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন সঙ্গে থাকা অন্য পুলিশ কর্মীরা তাঁর স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করেননি। সেই প্রশ্ন থেকেই এ বার স্বামীর খুনের ঘটনার সিআইডি তদন্ত চাইলেন নিহত নবকুমার হাইতের স্ত্রী সুচিত্রা দেবী।
গত ৭ জানুয়ারি রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের কাপাসএড়িয়ায় দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করতে গিয়ে তাদের ছোড়া গুলিতে মারা যান নবকুমার। ১১ জানুয়ারি হাওড়ার জয়পুরের বিনোলা গ্রামে নবকুমারের বাড়িতে আসেন উলুবেড়িয়ার এসডিপিও সুনীল শিকদার এবং জয়পুর থানার ওসি কৌশিক নাগ। এসডিপিও-র মোবাইলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবকুমারের স্ত্রী সুচিত্রার সঙ্গে কথা বলতে চান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বলেছেন সাকুল্যে দেড় মিনিট। তার পরেই ফোন কেটে যায় তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক কথা বলার থাকলেও তা বলা হয়নি সুচিত্রার। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে চান তিনি। দুষ্কৃতীরা সকলে ধরা পড়লেও তারাই যে শুধুমাত্র তাঁর স্বামীর খুনের ঘটনায় জড়িত তা মানতে নারাজ সুচিত্রা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবিও জানাবেন তিনি।
কী কথা হল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে?
সুচিত্রা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জানতে চাইলেন আমার পরিবারে কে কে আছে। আমি সব জানিয়েছি। তারপরে তিনি জানতে চাইলেন আমি চাকরি করতে চাই কি না, হ্যাঁ বললাম। তারপরে তিনি বলেন, দোষীরা সবাই ধরা পড়েছে। এরপরে আমি কিছু বলার আগেই ফোন কেটে যায়। তারপরে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলেও আর ফোন আসেনি। এসডিপিও এবং জয়পুর থানার ওসি দু’জনেই চলে যান।’’ যদিও এ বিষয়ে উলুবেড়িয়ার এসডিপিও এবং জয়পুর থানার ওসি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
নবকুমারের পরিবার সূত্রে খবর, পুলিশের পক্ষ থেকে হাজার পনেরো টাকা তাঁদের দেওয়া হয়েছে। দাদা শুকদেব জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁরা উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজার দ্বারস্থ হয়েছেন। সমীরবাবু বলেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব। তিনি সময় দিলে নবকুমারের পরিবারকে নিয়ে যাওয়া হবে।’’
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy