মেঘলা: মুখ ভার শহরের আকাশের। রবিবার বাবুঘাটে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
বঙ্গোপসাগরের ওপরে থাকা ঘূর্ণাবর্তের জেরে মাঝে মাঝেই বৃষ্টি নেমে পুজোর রসভঙ্গ করেছে। রবিবার সে’টি ঢুকে পড়েছে স্থলভূমিতে। আর তার জেরেই একাদশীর সারা দিন দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গায়।
এ দিনের উপগ্রহ চিত্র দেখাচ্ছে, ঘূর্ণাবর্তটি পশ্চিমবঙ্গের উপরে অবস্থান করছে। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে— আজ, সোমবার ওই ঘূর্ণাবর্তটি ঝাড়খণ্ডের দিকে সরে যাওয়ার কথা। ঘূর্ণাবর্তটি ঝাড়খণ্ডে কখন ঢোকে তার উপরেই নির্ভর করছে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার আবহাওয়া।
আরও পড়ুন: আনন্দপ্লাবনে ভেসে গেল বৃষ্টির ফন্দি
হাওয়া অফিসের খবর— ঘূর্ণাবর্তটি খুব ধীরে এগোচ্ছে। তার ফলে সোমবার বিকেলের আগে কলকাতার আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ঘূর্ণাবর্তটি সরার সময়ে পশ্চিমের জেলাগুলিতে এবং উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণ হতে পারে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস।
এক আবহবিদের কথায়, ঘূর্ণাবর্তটি ঝাড়খণ্ডে ঢুকলেও বিপদ। কারণ, তার জেরে ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সেই জল নেমে আসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গের সাম্প্রতিক বন্যার অন্যতম কারণই ছিল ঝাড়খণ্ডের প্রবল বৃষ্টি।
অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষার বিদায় নেওয়ার কথা। কিন্তু গত কয়েক বছর বর্ষা পিছুই ছাড়ে না। বৃষ্টি-বাদল পুরোপুরি বিদায় নিতে নভেম্বর পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে। তার ফলে হেমন্ত কালটা হারিয়েই যাচ্ছে। আবার শীতও জমছে না। এ বার অক্টোবরের প্রথম দিনেই আবহাওয়া যে খেল দেখাল, তাতে বর্ষা এবার দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহবিদদের একাংশ।
আবহবিদদের কথায়— অক্টোবর মাসে বঙ্গোপসাগরে একের পর এক নিম্নচাপ তৈরি হয়। তার মধ্যে কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের চেহারাও নেয়। সেই নিম্নচাপের জেরেই মৌসুমি বায়ু অনেক দিন ধরে অতি-সক্রিয় থাকে। এই সময়ে তাই বঙ্গোপসাগরের বায়ুপ্রবাহের উপরে হাওয়া অফিস কড়া নজরদারি চালায়। কোনও কোনও বায়ুপ্রবাহ ঘূর্ণাবর্তের চেহারা নেয়। কোনওটা আবার ঘূর্ণিঝড় হয়ে যায়। আবার কোনওটা সমুদ্র গর্ভেই বিলীন হয়ে য়ায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy