সারা দেশেরই বর্ষা-ভাগ্য এখন আম্মা জয়ললিতার হাতে! মানে আম্মার রাজ্যের হাতে।
জয়ার রাজ্য তামিলনাড়ুর উপকূলে তৈরি হয়েছে একটি গভীর নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপটি অচিরেই ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলে আবহবিদদের আশঙ্কা। ঘূর্ণিঝড়টি নিজের কেন্দ্রে ঠিক কতটা বাতাস টেনে নিতে পারল, হাওয়া অফিস এখন সে-দিকেই তাকিয়ে আছে। কেরল দিয়ে যে-মৌসুমি অক্ষরেখাটির মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার কথা, সেটির বাতাস ওই নিম্নচাপ নিজের কোলে টেনে নিলেই বর্ষার দফারফা। ওই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার পরে তার গতিপ্রকৃতি কী হয়, তার উপরেই নির্ভর করবে মৌসুমি অক্ষরেখার ভাগ্য। কেরল উপকূলের বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে মৌসুমি বায়ুর সেই অক্ষরেখা এখন নিজের ভাগ্যরেখা বিচার করছে।
আবহবিদেরা জানান, নিম্নচাপ স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ে পুরোপুরি শক্তি হারানোর পরেই আরবসাগর দিয়ে ঢোকা মৌসুমি বায়ু ফের শক্তি বাড়াতে শুরু করবে। কেরল অভিমুখে নতুন করে যাত্রা শুরু করবে সে। আপাতত নিম্নচাপের হাতেই তার লাগাম।
দিল্লির মৌসম ভবনের এক আবহবিদ বলেন, ‘‘তামিলনাড়ু উপকূলে বাযুপ্রবাহ যে ঘোরালো হচ্ছে, সেটা আঁচ করেই কেরলে বর্ষা এ বার সাত দিন পরে পৌঁছবে বলে আমরা সব মহলকে জানিয়েছি।’’ অর্থাৎ ১ জুনের বদলে ৭ জুন নাগাদ বর্ষা ঢুকতে পারে কেরলে। তত দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বর্ষার কার্যত পৌঁছে যাওয়ার কথা। বর্ষা যত দেরিতে কেরলে ঢুকবে, ম্লান হতে থাকবে এ রাজ্যের বর্ষা-ভাগ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy