Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

ডেঙ্গি মোকাবিলার হাতিয়ার সমীক্ষার চুলচেরা বিশ্লেষণ 

কোথায় কতটা ঝুঁকি রয়েছে, তার নিরিখে বিভিন্ন ভাগ করা হয়েছে ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:১০
Share: Save:

শুধুই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ চিহ্নিত করা নয়, রাজ্যের কয়েকটি পুর এলাকার ওয়ার্ড কেন ঝুকিপূর্ণ, কেন সেখানে মশার বাড়বাড়ন্ত, তা-ও উঠে এসেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের ডেঙ্গি সমীক্ষায়। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই চলছে দফতরের অভ্যন্তরীণ কাটাছেঁড়া ও ডেঙ্গি মানচিত্রের প্রস্তুতি।

রাজ্যের বিভিন্ন শহুরে এলাকায় চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে সমীক্ষা হয়। তা থেকে পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ চিত্র উঠে এসেছে পুর দফতরের সামনে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাওড়া, কালিম্পং, পুরুলিয়া, কোচবিহার, মাথাভাঙা, শিলিগুড়ির পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড ডেঙ্গির ক্ষেত্রে কমবেশি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। একই রকম ঝুঁকি রয়েছে বীরনগর, খড়ার, চাকদহ, কুপার্স ক্যাম্প, বনগাঁ পুর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডেও।

কোথায় কতটা ঝুঁকি রয়েছে, তার নিরিখে বিভিন্ন ভাগ করা হয়েছে ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকা। সমীক্ষায় ওয়ার্ডের বাড়ি, নর্দমার হাল সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য রয়েছে। যেমন হাওড়ার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি নর্দমায় গাপ্পি মাছ থাকলেও সেখানে মশার লার্ভা রয়েছে। এক্ষেত্রে, ওই নর্দমাটি পরিষ্কার না হওয়ার কারণে হয়তো মাছগুলি নির্দিষ্ট পকেটে আটকে গিয়েছে। তাতেই বিপত্তি হয়েছে। হাওড়ার ১১ এবং ১৫ নম্বর ওয়ার্ডও ডেঙ্গিপ্রবণ। ঝুঁকিপূর্ণ কালিম্পং পুরসভার ২ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে সমস্যা বাড়িয়েছে ড্রাম আর ট্যাঙ্কে জমা জল। ঝুঁকি রয়েছে পুরুলিয়ার পাশাপাশি থাকা ১০ আর ১১ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে অব্যবহৃত জলাধার আর বন্ধ হতে বসা নিকাশি নালা চিন্তা বাড়িয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। কোচবিহার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নিকাশি নালার সঙ্গেই সমস্যা বাড়িয়েছে ‘ওভারহেড’ ট্যাঙ্ক। মাথাভাঙা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মশার বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে টায়ার আর জল জমানোর আধার। শিলিগুড়ি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডও পতঙ্গবাহিত রোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকির জায়গায় রয়েছে। সেখানে মশার লার্ভা এক সময় চিন্তা বাড়ালেও পরিস্থিতি এখন অনেকটাই অনুকূল, তেমনই মত বাড়ি বাড়ি যাওয়া (এইচ টু এইচ) সমীক্ষক টিমের সদস্যদের। খড়ার পুর এলাকার ২, ৫, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ। একই অবস্থানে রয়েছে চাকদহ পুরসভার ৬, ১০ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ড। বনগাঁ পুরসভার ১, ৫, ৬ ও ২১ নম্বর এবং কুপার্স ক্যাম্পের ১ নম্বর ওয়ার্ডও ঝুঁকির তালিকায়। বীরনগর পুরসভার ৩, ৮, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডও পতঙ্গবাহিত রোগের ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে

বলে আশঙ্কা রয়েছে। অন্তত চলতি মাসের ১২ দিনের সমীক্ষা রিপোর্টে তেমন ইঙ্গিত।

তবে বাড়িতে জল জমার পাত্রের সামগ্রী থাকলেও তাতে তেমন ভাবে জল জমানো নেই চুঁচুড়া, উত্তরপাড়া-কোতরং, নৈহাটি, উত্তর দমদম, কামারহাটি, ইংলিশবাজার পুর এলাকায়। একই চিত্রই জয়গাঁও এবং নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ এলাকাতেও দেখতে পেয়েছেন বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করতে যাওয়া কর্মীরা। পুর দফতরের মতে, কিছু এলাকায় ডেঙ্গি হয়তো সমস্যা বাড়াতে পারে। সেই এলাকাগুলি আগেভাগে চিহ্নিত করলে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা অনেক বেশি সহজ হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Mosquito Survey Coronavirus in West bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE