Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

মেয়রের ধর্নার পাল্টা তৃণমূলের

পর্যটনমন্ত্রীর দাবিকে চ্যালেঞ্চ করে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কাছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা পাওনা আছে। যদি মন্ত্রী প্রমাণ করতে পারেন যে রাজ্য সরকার পুরসভাকে শত শত কোটি টাকা দিয়েছে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। না পারলে ওনাকে রাজনীতি ছাড়তে হবে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৫৬
Share: Save:

রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে ১ মার্চ ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাতে পাল্টা ধর্না ঘোষণা করল তৃণমূল। বুধবার দলীয় দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই আন্দোলনের কথা জানান তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। গৌতম জানান, মেয়র যদি ধর্নায় বসে তাহলে সেই সময় থেকেই শিলিগুড়ি পুরসভায় তাঁর দফতরের সামনে তৃণমূল কাউন্সিলররা ধর্না শুরু করবেন। এদিন হিসাব পেশ করে মন্ত্রীর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার শিলিগুড়ি পুরসভাকে ২৮৯ কোটি টাকা দিয়েছে। তাছাড়া শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসজেডিএ), উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা থেকে পুরসভাকে ২০১১-২০১৬ সাল পর্যন্ত আরও ৭১১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে বলেই জানান গৌতম।

পর্যটনমন্ত্রীর দাবিকে চ্যালেঞ্চ করে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কাছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা পাওনা আছে। যদি মন্ত্রী প্রমাণ করতে পারেন যে রাজ্য সরকার পুরসভাকে শত শত কোটি টাকা দিয়েছে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। না পারলে ওনাকে রাজনীতি ছাড়তে হবে। আমার ঘরের সামনে ধর্নায় বসলে আমাদেরও অধিকার আছে ওনার ঘরের সামনে ধর্না করার।’’ পুরসভাকে কোন খাতে কত টাকা দেওয়া হয়েছে তার তথ্য দিয়ে দলের পক্ষ থেকে একটি শ্বেত পত্র প্রকাশ করা হবে বলেই জানান গৌতম। এবারের শ্বেতপত্রে সাম্প্রতিক সব তথ্য থাকবে বলেই জানান দলের নেতারা। বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্য সরকারের দেওয়া টাকা খরচ করতে পারছে না বলে এদিন গৌতম বলেন, ‘‘খরচ করতে না পারায় পুরভবন তৈরির জন্য রাজ্যের দেওয়া ২ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা এর মধ্যেই ফেরত চলে গিয়েছে। মার্চ মাসের মধ্যে খরচ না হলে সেই টাকাও ফেরত যাবে।’’

শিলিগুড়ি পুরসভাকে টাকা দেওয়ার নিয়ে তাদের আমলের সঙ্গে বাম আমলের তুলনাও টানেন গৌতম। তাঁর দাবি অশোক ভট্টাচার্য যখন এক সঙ্গে মন্ত্রী ও এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তখন ২০০৯-২০১১ তিন বছরে শিলিগুড়ি পুরসভাকে ১২৮ কোটি ২২ লক্ষ টাকা দেন। শিলিগুড়ি পুরসভাকে কেন এখনও নির্মল ঘোষণা করা সম্ভব হল না সেই প্রশ্নও তোলেন গৌতম। রঞ্জন বলেন, ‘‘আশা করব দলীয় টাকাতেই আন্দোলন করবেন মেয়র। না হলে আমরা পুর দফতরে যাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Politics Dharna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE