উত্তমের গালে চুম্বন করছেন মারাদোনা। —নিজস্ব চিত্র
প্রয়াত দিয়েগো মারাদোনা। সারা বিশ্বের অগণিত ফুটবল ভক্তের মতো তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত ফুটবল জাগলার উত্তম দাস। দীর্ঘ ২২ বছরের জাগলিং জীবনে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মারাদোনার সামনে জাগলিং দেখানো।
দিয়েগোর মৃত্যুর পর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সেই অনুভূতি যেন আজও টাটকা উত্তমের মনে। উত্তমের জাগলিং দেখে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরেছিলেন মারাদোনা। চুমু খেয়েছিলেন তাঁর গালে। সেই স্পর্শ আজও ভুলতে পারেননি উত্তম। বাড়ি ফেরার পর ৩ দিন স্নান করেননি। এটা স্বপ্ন না বাস্তব ভাবতে ভাবতেই কেটে যায় বহু দিন।
বালির সতীশ চক্রবর্তী লেনের বাসিন্দা উত্তম বলেন, “আমার জীবনে আইকন মারাদোনা। কলকাতায় দু’বার এসেছিলেন স্বপ্নের নায়ক।” ২০০৮ সালের ৬ ডিসেম্বর সল্টলেক স্টেডিয়ামে প্রথম এসেছিলেন। তার পর ২০১৭ সালে ১১ ডিসেম্বর আবার আসেন তিনি। দু’বারই তাঁর সামনে জাগলিং দেখানোর সুযোগ পেয়েছিলেন উত্তম। নিজের সই করা একটি ফুটবল তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন মারাদোনা। দেশে বিদেশে বহু জায়গায় জাগলিং দেখিয়েছেন তিনি। বহু প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু মারাদোনার জড়িয়ে ধরা এক অন্য প্রাপ্তি।
আরও পড়ুন: ‘নায়করা মুহূর্তের, কিংবদন্তিরা চিরন্তন’, দিয়েগোর প্রয়াণে মুহ্যমান ময়দান
আরও পড়ুন: মাফিয়ার সঙ্গে সঙ্গিনী নিয়ে জেলে পার্টি থেকে সাংবাদিকদের উপর গুলি, বিতর্কের অন্য নাম মারাদোনা
নায়কের মৃত্যুর খবর পেয়ে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না উত্তম। ভাবতেই পারছিলেন না এত তাড়াতাড়ি চিরতরে চলে যাবেন তাঁর স্বপ্নের নায়ক। আজ বারবার মোবাইলে দেখছিলেন সে দিনের সেই মুহূর্তের ফ্রেম বন্দি করা ছবিগুলো। তিনি মনে করেন এত বড় ফুটবলার আর ফিরে আসবে না। তাঁর স্বপনে মননে চিরতরে থাকবে ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy