মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বদলে গেল সমুদ্রের জলের রং। গত মঙ্গলবারও যে পর্যটকেরা সমুদ্র স্নান করেছিলেন, তাঁরাই বুধবার স্নান করতে গিয়েও ফিরে গেলেন। জলের স্বাভাবিক রং বদলে কাদা মিশ্রিত ঘোলাটে রূপ কেন নিল, তা নিয়ে শুরু হয়ে আলোচনা। যদিও সমুদ্র বিজ্ঞানীদের দাবি, সাগরের জলে বালি এবং কাদার পরিমাণ বাড়ার ফলেই এমনটা হয়েছে। তাঁদের অনুমাণ, সুবর্ণরেখা নদীতে বাঁধ দেওয়ার ফলশ্রুতিই এমন ঘটনা।
দিঘার সৈকতে প্রায় ১৫ বছর ধরে ডাব বিক্রি করছেন উত্তম গিরি। তিনি দিঘার স্থানীয় বাসিন্দাও বটে। ওই ডাব ব্যবসায়ীর কথায়, “এমন কাদা মিশ্রিত ঘোলাটে জল আগে কখনও দেখিনি।’’ গত সোমবার দিঘায় বেড়াতে এসেছেন কোচবিহারের অনন্যা পাল। তিনি বলছিলেন, “মঙ্গলবার সমুদ্রে স্নান করেছি। জলের রং তখনও এমন ঘোলাটে ছিল না। বুধবার হঠাৎ করে রং পরিবর্তনের কারণ কী, তা বুঝতে পারলাম না। জামাকাপড় কাদা হয়ে যাওয়ার ভয়ে, এ দিন সমুদ্রে নামিনি।’’ মুর্শিদাবাদ থেকে আসা শেখ সাত্তার বলছিলেন, “এর আগে বহুবার দিঘা এসেছি। কিন্তু এ বার জলের রং পরিবর্তনটা খুব চোখে লাগছে।’’
দিঘার সমুদ্রের জল ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার কারণ কী? সমুদ্র বিজ্ঞানী আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, “সমুদ্রে সেডিমেন্ট লোড বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ জলে বালি ও কাদার পরিমাণ বেড়েছে। সুবর্ণরেখায় বাঁধ দেওয়ার জন্য এমনটা ঘটছে।’’ আবার সমুদ্রের আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করা মীনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “সেডিমেন্ট লোড তো বেড়েইছে, আবার বিভিন্ন নদী থেকে যে কাদা-বালি আসে, তা সমুদ্রের তলদেশে বসে যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা থিতু হচ্ছে না। সেই কারণেই এমন ঘটনা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy