Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

দলে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা দিলীপের

দলে অন্তর্ঘাত হচ্ছে। রথযাত্রাতেও অন্তর্ঘাত হতে পারে। সোমবার দলীয় বৈঠকে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেন স্বয়ং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রথযাত্রার প্রস্তুতিতে এ দিন মাহেশ্বরী ভবনে দলের জেলা সভাপতি, জেলা পর্যবেক্ষক এবং যাত্রার দায়িত্বে থাকা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপবাবু।

দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:০৬
Share: Save:

দলে অন্তর্ঘাত হচ্ছে। রথযাত্রাতেও অন্তর্ঘাত হতে পারে। সোমবার দলীয় বৈঠকে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করলেন স্বয়ং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রথযাত্রার প্রস্তুতিতে এ দিন মাহেশ্বরী ভবনে দলের জেলা সভাপতি, জেলা পর্যবেক্ষক এবং যাত্রার দায়িত্বে থাকা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপবাবু। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা দলের সংবিধান না মেনে অন্তর্ঘাতের চেষ্টা করছেন, তাঁদের মুখ না দেখে মেরে পুলিশের হাতে তুলে দিন। তখন বুঝতে পারবেন, তারা আসলে তৃণমূলের লোক ছিল।’’ ওই বৈঠকে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি দিলীপবাবুর আরও হুঁশিয়ারি, ‘‘রথযাত্রায় যাঁরা বাধা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, আমার কাছে রিপোর্ট এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের সাসপেন্ড করে দেব। তখন আর বিজেপি করারও সুযোগ পাবেন না। আর মনে রাখবেন, বিজেপির নেতা হিসাবেই আপনাদের পরিচয়।’’

দিলীপবাবুর এই অন্তর্ঘাতের তত্ত্বকে নস্যাৎ করে তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘চামচিকেও পাখি, বিজেপিও পার্টি’! এর জন্য তৃণমূলের এজেন্ট পাঠানোর দরকার পড়ে না। মানুষই ওদের তাড়া করবে। তবে এটাই ভাল যে, ওদের নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস নেই।’’

বিজেপির অন্দরের ব্যাখ্যা, তৃণমূল থেকে আসা এক নেতাকে নিয়ে দিলীপবাবুরা খুব স্বচ্ছন্দ নন। সেই অভ্যন্তরীণ সমীকরণের প্রতিফলনই এ দিন দিলীপবাবুর বক্তৃতায় ধরা পড়েছে। এর আগে দলে ওই নেতার সঙ্গে দিলীপবাবুর মতপার্থক্য একাধিক বার চর্চার বিষয় হয়েছে।

এ দিন ওই বৈঠকে দলের জেলা নেতৃত্বের প্রতি রাজ্য সভাপতির আরও নির্দেশ ছিল, ‘‘মার খাওয়ার ভয় থাকলে দল করতে হবে না। সাহসীদের জায়গা ছেড়ে দিন।’’ মিছিলে বাঁশ-ডান্ডা সঙ্গে রাখার নির্দেশও এ দিন কর্মীদের দেন দিলীপবাবু। পরে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল আমাদের ভয় পাচ্ছে। তাই বার বার আক্রমণ হচ্ছে। যেখানে নিজেরা পারছে না, সেখানে পুলিশকে ব্যবহার করছে। আমরাও ছেড়ে কথা বলব না। যেখানেই সুযোগ পাব, ওদের পিঠের ছাল তুলে নেব।’’ কিন্তু দলীয় কর্মীরা সে কথা শুনছেন কোথায়? এ দিন কলকাতায় লালবাজার অভিযানে তো লোকই দেখা গেল না? দিলীপবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘ওই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হঠাৎ হয়েছে। তাই লোক কম। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অনেক লোক হয়েছে।’’

এ প্রসঙ্গে ফিরহাদের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘আমরা ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করি না। ওদের মারতে যাব কেন? উনি হাওয়া গরম করার জন্য এ সব বলছেন। দিদি অনুমতি দিলে, আমরা মিছিল করে ওদের পিঁপড়ের মতো টিপে মেরে দিতে পারি। কিন্তু নেত্রী সে কাজ কোনও দিনই আমাদের করতে দেবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sabotage Dilip Ghosh BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE