দেবেনের মেয়ের সঙ্গে দিলীপ। নিজস্ব চিত্র
আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখে হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার—সোমবার হেমতাবাদের বালিয়ায় দেবেন্দ্রনাথের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করে এমনই অভিযোগ তুললেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তাঁর দাবি, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট বিধায়কের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের আবেদন গ্রহণ করতেই সিআইডি তড়িঘড়ি ৭ অগস্ট মালদহ থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। দিলীপ বলেন, “আর্থিক লেনদেনের কারণে টাকা খুইয়ে অবসাদে দেবেন্দ্রনাথ আত্মহত্যা করেছেন বলে তৃণমূল ও রাজ্য সরকার অপপ্রচার করছে। সিবিআই হলে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ফেঁসে যাবেন। এই ভয়ে রাজ্য সরকার তা করাচ্ছে না।”
সিআইডির দাবি, ব্যবসার জন্য প্রায় এক কোটি টাকা লগ্নি করে তা ফেরত না পাওয়ায় দেবেন্দ্রনাথ আত্মহত্যা করেছেন। ইতিমধ্যেই বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায়ের অভিযোগে মালদহের নিলয় সিংহ ও মাবুদ আলিকে গ্রেফতার করে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রায়গঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনুপম সিংহ বলেন, “আইন আইনের পথে চলছে।” মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের তৃণমূল বিধায়ক গোলাম রব্বানি বলেন, “রাজ্য সরকারের বদনাম করতে রাজনীতি করছে বিজেপি। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই। রাজ্য সরকার নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।”
এ দিন দেবেন্দ্রনাথের স্ত্রী চাঁদিমার সঙ্গে কথা বলেন দিলীপ। ছিলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপির রাজ্য নেতা সায়ন্তন বসু। চাঁদিমা বলেন, “আমার স্বামীর মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত দাবিতে বিজেপি আন্দোলন চালাবে বলে দিলীপবাবু আশ্বস্ত করেছেন।”
এ দিন দিলীপ, সুকান্ত ও সায়ন্তনের সঙ্গে বিজেপির কয়েকশো নেতা, কর্মী ও সমর্থক দেবেন্দ্রনাথের বাড়িতে ভিড় করেন। পরে বালিয়াদিঘি মোড়ে দেবেন্দ্রনাথের মূর্তি তৈরি সূচনা করেন দিলীপ। অভিযোগ, দু’টি এলাকাতেই বিজেপির নেতা, কর্মী ও সমর্থকেরা সামাজিক দূরত্ববিধি মানেননি। তাঁদের অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, “দিলীপবাবুকে দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে জমায়েত করেছিলেন। সেখানে দলের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy