বিক্ষোভ: আধিকারিককে ঘিরে উত্তেজনা। রয়েছেন প্রশান্ত মিত্রও। মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরে। নিজস্ব চিত্র
গঙ্গারামপুর পুরসভায় আদালত-নির্ধারিত আস্থা ভোটের দু’দিন আগে দক্ষিণ দিনাজপুরে আসছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলার কাজে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে থাকার কথা তাঁর। পরে তিনি বুনিয়াদপুরে যেতে পারেন। সেইদিনই গঙ্গারামপুর পুরসভার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে দিলীপের দলীয় বৈঠক করার কথা।
সম্প্রতি গঙ্গারামপুরে আইন অমান্য করে বিজয় মিছিল করার অভিযোগে দিলীপের বিরুদ্ধেও পুলিশ মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলায় হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান। আগামী ৩ অগস্ট হাইকোর্টের ওই নথি নিয়ে নিম্নআদালতে হাজিরা দিতে তিনি গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে আসতে পারেন। তারপরই তিনি সেখানকার বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্র ও তাঁর ভাই পুরপ্রধান প্রশান্তদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, সংখ্যালঘিষ্ঠ কাউন্সিলরে ভরসা করে গঙ্গারামপুর পুরসভা দখল সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বিজেপির একাংশ জেলা নেতৃত্ব। দিলীপবাবুর উপস্থিতিতেও তা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তারা। কারণ, ১৮-আসন বিশিষ্ট গঙ্গারামপুর পুরসভায় পুরপ্রধান প্রশান্তের দিকে মাত্র ৭ জন কাউন্সিলর। বাকি ১১ জন কাউন্সিলর তৃণমূলের অর্পিতা শিবিরের প্রতি আস্থা রয়েছে বলে খবর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি জেলা নেতার বক্তব্য, প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি এবং বর্তমান তৃণমূল সভানেত্রী শিবিরের মধ্যে গত প্রায় একমাস ধরে চলছে টানাপোড়েন। ওই দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে আখেরে বিজেপি দলের কোনও লাভ হচ্ছে না। বরং জেলা পরিষদ থেকে পুরসভার দখল ধরে রাখাই ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে বলে তারা মনে করেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সভাপতিও কিছু করতে পারবেন না বলে গেরুয়া শিবিরের একাংশের অভিমত। বালুরঘাট লোকসভা আসনের অন্তর্ভুক্ত ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৪টিতে এগিয়ে বিজেপি। এতে সংগঠনের গতি বাড়ছিল। কিন্তু বিপ্লব তৃণমূল ছাড়তে অর্পিতা শিবিরের সঙ্গে টানাপড়েন শুরু হওয়ায় আদতে বিজেপির লাভ হচ্ছে না বলে ওই নেতারা মনে করেছেন।
বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার দাবি, ‘‘দলের ওই নেতাদের কথা ঠিক নয়। বিপ্লববাবু যোগ দেওয়ায় দল শক্তিশালী হয়েছে। তাছাড়া শাসক দলের পাশাপাশি আমাদের প্রশাসনের সঙ্গেও প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy