কালনায় দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র
বাধার মুখে পড়লে প্রত্যাঘাতের রাস্তায় যেতে হবে, দলের কর্মীদের ‘পরামর্শ’ দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার কালনার কৃষ্ণদেবপুরে দলের যুব কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকেও আক্রমণ করেন তিনি।
দিলীপবাবু অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত ভোটের নামে এ রাজ্যে প্রহসন হয়েছে। ৪২ শতাংশের বেশি মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূল। তাঁর দাবি, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট কিন্তু এ ভাবে হবে না। বুথের একশো গজের মধ্যে থাকবে না রাজ্য পুলিশ। বিজেপির রথযাত্রার প্রসঙ্গ তুলে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘যাত্রায় কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য তুলে ধরা হবে। শাসকদল তা নানা ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। শুনছি সিপিএম, নকশালরাও না কি বাধা দেবে। দিলে বেছে-বেছে উনুনে যেমন কাঠ দেয়, তেমন ভাবে রথের চাকায় দেব।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করেন, তাঁদের কয়েক হাজার কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, ঘরছাড়া করা হয়েছে। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে অনেককে। দিলীপবাবু কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মার খেয়ে যেন আমাকে কেউ ফোন না করেন। আঘাত করলে পাল্টা প্রত্যাঘাত করতে হবে। দুর্গাপুরের মতো রুখে দাঁড়াতে হবে।’’
এ দিনের সভায় দিলীপবাবু আরও দাবি করেন, কোনও জায়গায় সভা করার জন্য তাঁরা পুলিশের কাছে আবেদন করবেন। অনুমোদন পেলে ভাল। না পেলেও সভা করা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্গাপুরে সভা করার পরে জলপাইগুরির হলদিবাড়িতে একটি সভা করার অনুমতি পুলিশ প্রথমে দিয়েও পরে বাতিল করে। তবে আমি সেখানে গিয়ে সভা করছি।’’ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির থেকে এ রাজ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্পে পিছিয়ে পড়ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সভায় ছিলেন বিজেপি-র অন্যতম রাজ্য সম্পাদক রাজীব ভৌমিক, জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ভৌমিক, জেলার নেতা বিশ্বজিৎ পোদ্দার প্রমুখ। তাঁরা জানান, লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে শুধু যুব নয়, মহিলা, কিসান-সহ দলের নানা সেল কর্মী সম্মেলন করবে।
দিলীপবাবুর মন্তব্য প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘উনি সব জায়গায় হিংসা ছড়াতে আসেন। উস্কানিমূলক কথা বলেন। কৃষ্ণদেবপুরেও তাই করেছেন। মানুষ বিজেপি-র সঙ্গে নেই। তাই উনি কী বললেন সে নিয়ে সাধারণ মানুষের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy