বিজেপি বা সঙ্ঘ পরিবারের নাম মুখে না আনলেও শুক্রবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে নাগাড়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে দলকে সতর্ক করে বলেছিলেন, বিজেপির আগ্রাসী রাজনীতির মোকাবিলাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। মমতা তাঁদের এতটা গুরুত্ব দেওয়ায় শনিবার তৃণমূল বিরোধী আক্রমণের মেজাজ আরও চড়িয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষরা। হিন্দুত্বের কর্মসূচিতে কেউ বাধা দিলে সে ইতিহাস হয়ে যাবে বলে এ দিন হুমকি দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপবাবু।
এমনিতে রাজনৈতিক আক্রমণে কু-শব্দ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপি সভাপতির জুড়ি নেই। বরং মানুষের নজর কাড়তে কৌশলে সেটাই অস্ত্র করে নিয়েছেন তিনি। এ দিন বসিরহাটের মিনাখাঁর চৈতল বাজারে দলের এক সভায় তিনি বলেন, ‘‘বুঝতে পারছেন তো দিদি ভয় পেয়েছে! খুব শিগগির তৃণমূলের দফতর বন্ধ তো হবেই, সেখানে ঝাঁট দেওয়ার লোকও পাওয়া যাবে না।’’ এরই পাশাপাশি রাম মন্দির নির্মাণের স্লোগান তোলেন দিলীপবাবু। হুমকির সুরে বলেন, ‘‘আমাদের হিন্দুত্বের কর্মসূচিতে বাধা দিলে পরিণাম ভাল হবে না। কেউ বাধা দিলে তাকে ইতিহাস হয়ে যেতে হবে।’’
বিজেপি ও সঙ্ঘের নেতাদের দাবি, তাঁদের চাপেই এখন তৃণমূল নেত্রীকেও উঠতে বসতে বলতে হচ্ছে তিনিই আসল হিন্দু। রাজ্য বিজেপি সভাপতি এ দিন বলেন, ‘‘তৃণমূল ঠ্যালায় পড়ে এখন ভণ্ডামি করছে।’’
শুক্রবার দলের কর্মীদের মমতা বলেছিলেন, সিবিআই তদন্ত বা বিজেপির আগ্রাসী রাজনীতি দেখে তাঁরা যেন ভয় না পান। এ দিন দিলীপবাবুও পাল্টা বলেন, ‘‘আমাদের এগোতে দেখে দিদির ঘুম উবে গেছে। তাই চোর, ডাকাত, গুন্ডা, পুলিশ দিয়ে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করছে। মনে রাখতে হবে দেশ জুড়ে বিজেপি রয়েছে। তাই আর ভয় পাবেন না।’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘ওঁরা যে রাজনীতি করতে চাইছেন তা বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান। মানুষ ওঁদের ছুড়ে ফেলে দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy