দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত।—ফাইল চিত্র।
দফতরে ঢুকে সংশ্লিষ্ট কর্মী ও অফিসারদের না পেয়ে রেগেমেগে ফাইলপত্র ছুড়ে, চেয়ার উল্টে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দার্জিলিঙের জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে! শিলিগুড়িতে জেলাশাসকের অফিসে ভূমি রাজস্ব দফতরে এই সংক্রান্ত একাধিক ছবি বুধবার সারাদিন ধরে ঘুরল বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। সেইসঙ্গে ছড়াল তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্যও।
যদিও কোনও সরকারি কর্মী প্রকাশ্যে মন্তব্য করেননি। কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি। শুধু ছড়িয়ে পড়া হোয়াটসঅ্যাপেই অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধে ৬টা নাগাদ জেলাশাসক ওই দফতরের কর্মীদের সঙ্গে এ হেন আচরণ করেছেন। তা নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়ায় দার্জিলিঙে। জেলাশাসক অবশ্য জানান, তিনি এমন ঘটেছে বলে শোনেননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার দফতরে আমিই গোলমাল করেছি! সত্যি, কী অভিযোগ? কেউ চাইলে পুলিশে অভিযোগ করতে পারেন। আর কারা সোশ্যাল সাইটে এমন ছবি ও মেসেজ ছড়িয়েছে তা আমরাও দেখছি।’’
শিলিগুড়িতে জেলাশাসকের দফতরের পাশেই জেলা ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিস। দোতলায় বিভিন্ন দফতর রয়েছে। সম্প্রতি পাহাড়ের বিভিন্ন জমি হস্তান্তর, মাইনিং সংক্রান্ত বেশ কিছু অভিযোগ জেলাশাসকের কাছে পৌঁছেছে। তিনি বিভাগীয় স্তরে সেগুলির তদন্ত শুরু করেছেন। এর আগে বিমল গুরুঙের কাঞ্চনজঙ্ঘা পাবলিক স্কুলের জমি বেআইনি ভাবে হস্তান্তর হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। এই নিয়ে প্রশাসনের তরফে বারবার অফিসার ও কর্মীদের সর্তক করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজে বলা হয়েছে, সন্ধেয় জেলাশাসক ওই দফতরে আসেন।
অভিযোগ এ ভাবেই ছুড়ে ফেলা হয় চেয়ার-ফাইল। হোয়াটস্অ্যাপে ঘুরছে এই ছবি।
তাঁর দেওয়া কয়েকটি কাজ নিয়ে তিনি খোঁজ নিতে গেয়ে দেখেন, সংশ্লিষ্ট দু’তিনজন কর্মী আসেননি। বিকেল ৫টার পর তাঁরা চলে গিয়েছেন বলায় তিনি রেগে যান। তার পরেই ফাইলপত্র টেবিল থেকে ছুড়ে ফেলেন। কয়েকটি চেয়ারও উল্টে দিয়ে চলে যান। মেসেজে অভিযোগ, এর আগেও কর্মীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করেছেন জেলাশাসক।
আরও পড়ুন
ছাত্রহীন স্কুলের ঠিকানা সুকন্যা, কিশলয়, ধ্রুবাশ্রম
তবে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন অফিসার জানান, গোটা ঘটনার পিছনে কোনও চক্রান্তও থাকতে পারে। সেটিও দেখা দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy