প্রতীকী ছবি।
অবশেষে এ রাজ্যেও তৈরি হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষার পরিকাঠামো। রাজ্য সরকারি সূত্রের খবর, আগামী বছরের মার্চ নাগাদ চালু হয়ে যাবে তিন কোটি টাকায় নির্মিত এই ল্যাবরেটরি।
রাজ্য ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে এই পরিকাঠামো। ডিএনএ ছাড়া সেরোলজি পরীক্ষাও হবে এখানে। চুল, নখ, হাড়, রক্ত, মাংস, লিগামেন্ট, মল মূত্র থেকে শনাক্তকরণ ও পিতৃত্ব পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে ডিএনএ পরীক্ষায়। একই সঙ্গে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে সেরোলজি পরীক্ষার মাধ্যমে দোষীকে চিহ্নিত করা যাবে। এখন এই সব পরীক্ষা করাতে হায়দরাবাদ, দিল্লি ও চণ্ডীগড়ে ছুটতে হয়। সময় ও অর্থ— দু’ই-ই নষ্ট হয় বলে ক্ষোভ রয়েছে খোদ সরকারি মহলেই।
সূত্রের খবর, ১৯৫২ সালে এশিয়ার মধ্যে প্রথম কলকাতায় এই ধরনের ল্যাব তৈরি করা হয়েছিল। বেলগাছিয়ায় স্টেট ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির সদর দফতর। এই প্রতিষ্ঠানে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, টক্সিকোলজি এবং ব্যালিস্টিক পরীক্ষা হয়। এ বার ডিএনএ পরীক্ষা চালু হলে গোটা পরিকাঠামো স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে দাবি রাজ্যের।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মতে, খুন ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের তদন্তে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন। রেল দুর্ঘটনা বা বিমান দুর্ঘটনায় দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলে মাংসপিণ্ডের ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। তাঁদের দাবি, কলকাতায় ডিএনএ ল্যাব তৈরি হলে পরীক্ষা দ্রুত হবে। মামলার নিষ্পত্তিও তাড়াতাড়ি করা সম্ভব হবে।
সরকারি হিসেব বলছে, পাঁচ বছর আগেই বছরে প্রায় পাঁচশো খুন এবং ধর্ষণের মামলায় বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য রক্ত এবং সিমেনের নমুনা ফরেন্সিক ল্যাবে আসত। সেই নমুনা হায়দরাবাদে পাঠানো হতো। ফলে পরীক্ষার রিপোর্ট পেতেও দেরি হতো। রাজ্য ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের এক শীর্ষ কর্তা জানান, ডিএনএ এবং সেরোলজি বাদে সব বিভাগই কলকাতায় রয়েছে।
কলকাতার ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের প্রাক্তন ডিরেক্টর সুশান্ত মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালে ডিএনএ ল্যাবের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তার পর থেকে চেষ্টা চলছেই। বর্তমানে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবের দায়িত্বে রয়েছেন এডিজি পদমর্যাদার আইপিএস অফিসার হরমন প্রীত সিংহ। তিনি প্রায় ৩ কোটি টাকা
খরচ করে আধুনিক ল্যাব তৈরির চেষ্টা শুরু করছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই ডিএনএ ল্যাব চালু হয়ে যাবে।
এক ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের কথায়, কলকাতা ছাড়া জলপাইগুড়িতেও ফরেন্সিক ল্যাব অনেক দিন আগেই তৈরি হয়েছে। দুর্গাপুরে আঞ্চলিক ফরেন্সিক ইউনিট খোলার চেষ্টা হচ্ছে। জমি চিহ্নিত হয়েছে। বরাদ্দ হয়েছে দু’ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy