দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। মৃত চিকিৎসক (ইনসেটে)। নিজস্ব চিত্র
হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক চিকিৎসকের। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর কাঁড়ারের (৩৫) বাড়ি হাওড়ার জগাছায়। শনিবার সকালে বর্ধমানের পালশিট ও শক্তিগড়ের মাঝামাঝি জায়গায় দুর্ঘটনায় পড়ে তাঁর গাড়ি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি বিভাগ অনাময় হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে মৃত্যু হয় প্রিয়ঙ্করবাবুর।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র প্রিয়ঙ্করবাবু ২০১৬ সালে বর্ধমানের হাসপাতালে যোগ দেন। প্রসূতি বিভাগের এই চিকিৎসক এ দিন জগাছার বাড়ি থেকে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের আসনে বসেছিলেন তিনি। ২ নম্বর জাতীয় সড়কে মেমারির কুমারপাড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারান তাঁর গাড়ির চালক সৌরভ মণ্ডল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কয়েক বার ডিগবাজি খেয়ে গাড়িটি পাশের আলুখেতে গিয়ে পড়ে। প্রিয়ঙ্করবাবু গাড়ি থেকে ছিটকে বাইরে পড়েন। খেতমজুরেরা গাড়িটি সোজা করে চালককে বার করেন। পালশিট ফাঁড়ির পুলিশ দু’জনকে অনাময় হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ঘণ্টা দেড়েক পরে মৃত্যু হয় প্রিয়ঙ্করবাবুর। চালক চিকিৎসাধীন।
ময়না-তদন্তের জন্য চিকিৎসকের দেহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। সেখানে জড়ো হন তাঁর সহকর্মী ও ছাত্রছাত্রীরা। হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ বলেন, ‘‘খুব দায়িত্বশীল চিকিৎসক ছিলেন প্রিয়ঙ্কর। ভাল অস্ত্রোপচার করতেন। আমাদের খুব ক্ষতি হয়ে গেল।’’ পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘পিছনের আসনে বসলে ‘সিটবেল্ট’ বাঁধা বাধ্যতামূলক নয়। তবে হাইওয়েতে যাত্রীসুরক্ষার জন্য তা পরা উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy