Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দল ছেড়ে দিয়ে যাবেন না, নতুন কাউন্সিলরদের অনুরোধ প্রদীপের

রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমশ জমি হারাতে থাকলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর পুরসভাটি এ বার দখলে এনেছে কংগ্রেস। পুরপ্রধান হয়েছেন সুজিত সরখেল। তাঁকে সংবর্ধনা দিতে রবিবার বিকেলে জয়নগরের শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, দলের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রশান্ত সরখেল-সহ অনেকে।

দুই নেতা। বাঁ দিকে, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। ডান দিকে, সিপিএমের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

দুই নেতা। বাঁ দিকে, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। ডান দিকে, সিপিএমের ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জয়নগর ও ক্যানিং শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৫ ০২:০৯
Share: Save:

রাজ্য রাজনীতিতে ক্রমশ জমি হারাতে থাকলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর পুরসভাটি এ বার দখলে এনেছে কংগ্রেস। পুরপ্রধান হয়েছেন সুজিত সরখেল। তাঁকে সংবর্ধনা দিতে রবিবার বিকেলে জয়নগরের শিবনাথ শাস্ত্রী সদনে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, দলের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রশান্ত সরখেল-সহ অনেকে।

সদ্য দল ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন কাটোয়ার দাপুটে কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। যা দলের পক্ষে আদৌ স্বস্তিদায়ক নয়। নেতা-কর্মীদের দল ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার প্রবণতা ২০০৯ সালে তৃণমূলের উত্থানের সময় থেকে বহু বার সহ্য করতে হয়েছে কংগ্রেসকে। এ বার যাঁরা কংগ্রেসের টিকিটে প্রথম বার জয়ী হয়েছেন জয়নগরে, তাঁদের উদ্দেশে প্রদীপবাবুর অনুরোধ, ‘‘দল ছেড়ে যাবেন না। প্রয়োজনে আমার তহবিলের টাকা দিয়ে উন্নয়নে সাহায্য করব।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘দলের মধ্যে বিবাদ থাকতে পারে। কিন্তু সে জন্য দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা উচিত নয়’’ দল ভাঙার জ্বালা এখন কংগ্রেসের গায়ে টাটকা। রাজ্যের শাসক দলকে লক্ষ্য করে প্রদীপবাবুর কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের এখন একটাই কাজ, লোভ দেখিয়ে বা সন্ত্রাস করে আমাদের কর্মীদের দলে টানা।

তৃণমূল-বিজেপির সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘সিবিআই যত কাছে আসছে, দিদির সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক তত মধুর হচ্ছে।’’

এ দিনই ক্যানিংয়ে এসএফআইয়ের জেলা সম্মেলনে উপস্থিত সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কখনও কংগ্রেস আবার কখনও বিজেপি-র সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন। মোদীর সঙ্গে এখন বাংলাদেশ যাবেন বলে ঠিক করেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও এখন নেত্রীর প্রশংসা করছেন। এক কথায় বলা যায় দু’জনের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে।’’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তীও।

ঋতব্রতবাবু বলেন, ‘‘এসএফআই করলে পড়ুয়াদের কলেজে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী, অ্যাডমিট কার্ডে আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও ঘটনা ঘটেছে। এতে ভয় পাচ্ছেন পড়ুয়ারা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE