মেদিনীপুরের জনসভায় মোদী। সোমবার। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি আগুন নিয়ে খেলছে— প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্বের এই প্রতিক্রিয়া।
গত সাত বছরে সিন্ডিকেট-দুর্নীতির পাশাপাশি বিরোধী স্বর তথা গণতন্ত্রকেই তৃণমূল ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মোদী। এই আক্রমণের জবাবে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আপনার দল দুর্নীতির সিন্ডিকেট। বিজেপি নেতারা তাই যেন আগুন নিয়ে না খেলেন।’’
মোদী এ দিন অভিযোগ করেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে এখন পুজো করতে গেলেও বাধা পেতে হয়।’’ জবাবে এক বিবৃতিতে পার্থবাবু বলেন, ‘‘বাংলা সবার। বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী।’’ মোদীকে পাল্টা আক্রমণ করে পার্থবাবু বলেছেন, ‘‘আপনার দল তো ধর্মীয় উগ্রতা, ধর্মান্ধতা, অত্যাচার, গণপিটুনির সিন্ডিকেট। আপনার দলই তো সেই সিন্ডিকেট, যারা নোটবন্দির মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। আপনার দল তো কেন্দ্রীয় সংস্থার সিন্ডিকেট। কেন্দ্রীয় সংস্থা লাগিয়ে যত খুশি হেনস্থার চেষ্টা করুন, আমরা কিছুতেই বিজেপির সিন্ডিকেটের কাছে মাথা নোয়াব না।’’
মমতার দাবি সত্ত্বেও এ দিন কৃষিঋণ মকুবের মতো কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি মোদী। উল্টে রাজ্যে কৃষকদের হাল ভাল নয় বলে ‘চাপ’ বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। জবাবে তৃণমূলের দাবি, ‘‘গত সাত বছরে কৃষকদের আয় তিন গুণ বেড়েছে।’’ রাজ্যে কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা যে শূন্য, সে কথাও মনে করিয়েছে তারা।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার পাশাপাশি বিজেপি কর্মী ও দলিতদের তৃণমূল হত্যা করেছে বলে মোদী অভিযোগ করেন। এ রাজ্যে ‘জগাই আর মাধাই উন্নয়ন’ হচ্ছে বলে মোদীর তোপের জবাবে তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘ওঁদের উন্নয়নমূলক কোনও কিছু বলার যে ছিল না, সেটা স্পষ্ট।’’
মোদীর আক্রমণকে ‘বিরোধিতার নাটক’ বলে মন্তব্য করেছে কংগ্রেস ও বাম। কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘চিটফান্ড কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ এড়িয়ে উনি সিন্ডিকেট, কলেজে ভর্তির দুর্নীতি নিয়ে যে বক্তৃতা করলেন, তা তো জেলা স্তরের নেতারা করেন!’’ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, ‘‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হলে বিহারে লালুপ্রসাদ গ্রেফতার হন, পশ্চিমবঙ্গে কারও কিছু হয় না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy