পানাগড় স্টেশনে দুন এক্সপ্রেস। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
ইঞ্জিনে ত্রুটির জেরে বুধবার সকালে পানাগড় স্টেশনে প্রায় দু’ঘণ্টা আটকে থাকল হাওড়াগামী দুন এক্সপ্রেস। যাত্রীদের অভিযোগ, এ বিষয়ে রেল ঠিক মতো তথ্য না দেওয়ায় তাঁদের দুর্ভোগ বেড়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেনের বেশ কিছু কামরায় জল, বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যা আরও বাড়ে। সেই সঙ্গে ট্রেনে চুরির অভিযোগ উঠেছে।
এ দিন সকাল ১০ টা নাগাদ পানাগড়ে পৌঁছয় দুন এক্সপ্রেস। তার পরেই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ পরেও তা না ছাড়ায় যাত্রীদের একাংশ নেমে পড়েন প্ল্যাটফর্মে। তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ইঞ্জিনে ত্রুটির জন্য ট্রেন ছাড়ছে না। আসানসোল থেকে অন্য ইঞ্জিন এলে তবে ট্রেন ছাড়বে। এ কথা জানতে পেরেই যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
যাত্রীরা অভিযোগ জানাতে থাকেন, ট্রেনের অবস্থা অসহনীয়। কিন্তু তাঁদের প্রকৃত তথ্যের কথা জানায়নি রেল। জল, বিদ্যুৎ না থাকায় সমস্যা আরও বাড়ে। সেই সঙ্গে কামরায় চুরি-সহ অন্য নানা অভিযোগও উঠেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সংরক্ষিত কামরায় বাইরের লোকজন উঠে পড়ায় তাঁরা রাতে শোয়ার জায়গা পাননি। কয়েক জনের ব্যাগ ও সঙ্গে থাকা মালপত্র চুরি গিয়েছে। তেমনই এক জন সোমাশ্রী দাস জানান, স্বামী ও তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে ফিরছিলেন। তাঁদের ব্যাগ, এমনকি ছেলের ওষুধের ব্যাগও চুরি গিয়েছে। তার উপরে কামরায় জল ও বিদ্যুৎ না থাকায় ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানান সোমাশ্রীদেবী। শেষমেশ ওই শিশুকে পানাগড়ের প্ল্যাটফর্মে নেমে কলের জলে স্নান করাতে হয়। সোমাশ্রীদেবীর ক্ষোভ, ‘‘দুঃস্বপ্নের রেলযাত্রা। রেলের আধিকারিকদের বার বার সমস্যার কথা জানিয়েও লাভ হয়নি। অভিযোগের কথা শুনে তাঁরা বরং উল্টে চলে গিয়েছেন।’’
শেষমেশ প্রায় দু’ঘণ্টা বাদে আসানসোল থেকে ইঞ্জিন পৌঁছয় পানাগড়ে। তার পরে ট্রেন ছাড়ে। যাত্রীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলেরে এক কর্তা জানান, দূরপাল্লার ট্রেন আগে থেকেই দেরিতে চললে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিষেবার মান নামতে থাকে। তার উপরে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায়। তবে ওই আধিকারিকের দাবি, ‘‘ইঞ্জিন বদলাতে সময় নষ্ট হয়নি। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy