পোলবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। —ফাইল চিত্র।
চিকিৎসকদের যাবতীয় চেষ্টা সত্ত্বেও খুদে স্কুলপড়ুয়া ঋষভ সিংহের শারীরিক অবস্থার উন্নতির লক্ষণ নেই বলে শুক্রবার জানান এসএসকেএম হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র। তবে পরিজনদের মুখে এ দিন হাসি ফুটিয়েছে হুগলির পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দিব্যাংশু ভগত। তার মা রিমা ভগত জানান, তাঁকে মা বলে ডেকেছে দিব্যাংশু। দুর্ঘটনার সাত দিন পরে গাড়িটির অন্যতম চালক শেখ শামিম আফরোজ আখতার গ্রেফতার হয়েছে।
উপাধ্যক্ষ জানান, সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গেও কথা বলেছে দিব্যাংশু। তাকে ভেন্টিলেটরের বাইরে আনা হয়েছে। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছে সে। চামচের সাহায্যে খেতেও পারছে। উপাধ্যক্ষ বলেন, “তবুও দিব্যাংশুর শারীরিক অবস্থাকে সঙ্কটজনকই বলতে হবে।’’ কারণ, নয়ানজুলির পাঁক থেকে শরীরে যে-জীবাণু ঢুকেছে, তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই আরও এক সপ্তাহ না-গেলে উদ্বেগ কাটছে না চিকিৎসকদের।
১৪ ফেব্রুয়ারি পোলবার কামদেবপুরে চুঁচুড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে। তিন খুদে পড়ুয়া গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: গুরুতর পরিণাম মনে করালেন রাজ্যপাল
হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের তদন্তকারীদের দাবি, শেওড়াফুলির বাসিন্দা শামিম গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির কাছে তিনি পরিচিত এক জনের বাড়িতে যান। সূত্র মারফত খবর পেয়ে সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে। এক প্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে শুক্রবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে চার দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশি সূত্রের খবর, ওই দুর্ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ (বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো), ৩০৮ (অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা), ৩৩৭ (অবহেলার ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালানো) এবং ৩৩৮ (বেপরোয়া গতির জন্য চলন্ত গাড়ি নিয়ে পড়ে যাওয়া) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy