প্রতীকী ছবি।
মহোৎসবে প্রতি বছরেই শহরতলির জনস্রোত কলকাতা ভাসিয়ে দেয়। তাতে লক্ষ্মীলাভ হয় রেলেরও। দুর্গাপুজোর সব ক’টি দিনের পুরো হিসেব আসার আগেই এ বার রেলের লাভ গত বছরকে টেক্কা দিয়েছে। গত বছরের তুলনায় শুধু শিয়ালদহ স্টেশনেরই আয় বেড়েছে ২৭ শতাংশের বেশি। আর সামগ্রিক ভাবে আট শতাংশেরও বেশি আয় বেড়েছে শিয়ালদহ ডিভিশনের।
রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, এই হিসেব চতুর্থী থেকে সপ্তমী পর্যন্ত চার দিনের। মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়াদশমীর তথ্য হাতে আসার পরে আয় বৃদ্ধির হার আরও বেশ খানিকটা বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। রেল সূত্রের খবর, চতুর্থী থেকে সপ্তমী পর্যন্ত শুধু শিয়ালদহ স্টেশন থেকে টিকিট কেটেছেন ছ’লক্ষ ১২ হাজার ১৩৬ জন যাত্রী। গত বছর ওই চার দিনে সংখ্যাটা ছিল পাঁচ লক্ষ ৪৬ হাজার ২৬০। যাত্রী-সংখ্যার বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশের বেশি। শিয়ালদহে এ বার চতুর্থী থেকে সপ্তমী পর্যন্ত এক কোটি ১৯ লক্ষ ৮২ হাজার ৪০০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। গত বছর অঙ্কটা ছিল ৯৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩০ টাকা।
রেল জানায়, পুজোয় ভিড় সামাল দিতে ১১ জোড়া অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন চালানো হয়েছে। শিয়ালদহ মেন, ছাড়াও সেই সব বাড়তি ট্রেন চলেছে শিয়ালদহ-দক্ষিণ এবং রানাঘাট, বনগাঁ, বজবজ শাখায়। বাড়তি ট্রেন চালানো হয়েছে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর সাড়ে ৩টের মধ্যে। এ ছাড়া নিয়মিত ট্রেনগুলিও বেলা ২টোর পর থেকে কাজের দিনের মতোই চালানো হয়েছে। শনি-রবিবারেও বেলা ২টোর পরে ট্রেন কমানো হয়নি। ওই দিনগুলিতেও অন্যান্য ট্রেন চলেছে দিনের মতো।
১৩ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে পুরো শিয়ালদহ ডিভিশনে টিকিট কেটেছেন ৭২ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৯৬ জন যাত্রী। গত বছর ওই সময়ে সংখ্যাটা ছিল প্রায় ৬৬ লক্ষ ৪৫ হাজার। আয় হয়েছে ছ’কোটি ৮৯ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার বেশি। যেটা গত বছরের চেয়ে আট শতাংশ বেশি।
রেলের হিসেব, পুজোয় শহরতলি থেকে কলকাতায় আসা যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় লেভেল ক্রসিংয়ের জন্য ট্রেন কমলেও যাত্রী কমেনি। অনেকেই সড়ক পরিবহণের চেয়ে ট্রেনের উপরে বেশি আস্থা রেখেছেন বলে রেলকর্তাদের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy