Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Durga Puja 2020

‘আর্থিক অনটনে’ থাকা কিছু নতুন পুজো কমিটিকেও টাকা দেবে রাজ্য

বুধবার নবান্ন সভাঘর থেকে দশটি জেলার ৬৯টি পুজো অনলাইন উদ্বোধন কর্মসূচি থেকে পুলিশকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

মাতৃশক্তি: কলকাতার একটি পুজো মণ্ডপের প্রতিমা তৈরি হচ্ছে নদিয়ার ঘূর্ণিতে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

মাতৃশক্তি: কলকাতার একটি পুজো মণ্ডপের প্রতিমা তৈরি হচ্ছে নদিয়ার ঘূর্ণিতে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০৪:১৯
Share: Save:

দশ বছরের পুরনো পুজো শুধু নয়, ‘আর্থিক অনটনে’ থাকা কিছু নতুন পুজো কমিটিকেও অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্ন সভাঘর থেকে দশটি জেলার ৬৯টি পুজো অনলাইন উদ্বোধন কর্মসূচি থেকে পুলিশকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। কী ভাবে অর্থ সাহায্য করা হবে তা জেলা পুলিশের কর্তারা রাজ্য পুলিশের ডিজি’র সঙ্গে আলোচনা করে স্থির করবেন।

গত মাসেই রাজ্যের প্রায় ৩৭ হাজার পুজো কমিটির প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা পরিস্থিতিতে অনটনের যুক্তিতে আরও বেশ কিছু সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। জনগণের টাকায় এ ভাবে অনুদান দেওয়া ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। তারই মধ্যে ফের এ দিনের নতুন অনুদানের ঘোষণা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।

নবান্ন সভাঘর থেকে দশটি জেলার পুজো অনলাইনে উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে ক্লাব ও পুজো কমিটি সম্পর্কে রাজ্য সরকারের অবস্থানের স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ক্লাবগুলি আমাদের সম্পদ। ১০ বছর হলে ক্লাব টাকা পায়। ১০ বছরের কম বয়সের গরিব ক্লাব হলে তাদেরও কিছু কিছু সাহায্য করবেন। কী ভাবে তা হবে, ডিজির সঙ্গে কথা বলে স্থির করবেন। মেয়েদের পুজোগুলিকেও সাহায্য করবেন।” প্রশাসনের একাংশের মতে, শারদোৎসবে আবেগের সঙ্গে অর্থনীতিও ষুক্ত। কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেও পুজোয় উৎসাহ জরুরি। অন্য রাজ্যগুলিতে পুজোর অনুমতি না মিললেও এ রাজ্যে পুজোয় ছাড় দিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন: কুমারী মায়ের করোনা পরীক্ষার পরেই পুজো, বেলুড় মঠে মণ্ডপ ফিরছে পশ্চিমের বারান্দায়

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিম্পং, দুই দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার অনেকগুলি পুজোর উদ্বোধন করেন। উত্তরবঙ্গের প্রতি সরকারের আন্তরিকতা ব্যক্ত করে মমতা বলেন, “অসমের ভাইবোনেরা কুমারগ্রামের পুজো দেখতে এলে সাহায্য করবেন। রাজবংশী, আদিবাসী, তফসিলি, সংখ্যালঘু, চা-বাগানের শ্রমিক, কামতাপুরি, বাংলাদেশের ভাই-বোন, কুরুক-কুর্মালি-উর্দু-বাংলা-হিন্দিভাষী সবাইকে নিয়ে সুন্দর করে পুজোটা করব। সব বিপদ থেকে মা দুর্গা রক্ষা করবেন।’’ ফের সুরক্ষাবিধি পালনের ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির পুজো উদ্বোধন করার কথা তাঁর। মমতা জানান, কয়েকটি মণ্ডপে গিয়ে বিধি মেনে প্রদীপ জ্বালাবেন তিনি। তবে বক্তৃতা কর্মসূচি থাকবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja 2020 Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE