ফাইল চিত্র।
ফি বছরই কোনও না কোনও বিপত্তি, দুর্ঘটনা ঘটে এই জলাধার ও লাগোয়া এলাকায়। এ বার তাই ১ জানুয়ারির ভিড়ের কথা মাথায় রেখে পর্যটক ও পিকনিক করতে আসা মানুষজনের জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ডিভিসি ও জেলা প্রশাসন। কর্তৃপক্ষের আশা, এর ফলে মাইথন জলাধারে বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে।
কী কী সেই বিধিনিষেধ? ডিভিসি কর্তৃপক্ষ জানান, বছর শুরুতে মাইথন জলাধারের উপরে কোনও গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে তাঁরা যোগাযোগ করেছেন পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড, দুই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গেও। সংস্থার জনসংযোগ আধিকারিক বিজয় কুমার বলেন, ‘‘নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। জলাধারের আশেপাশে আমাদের চিহ্নিত করে দেওয়া জায়গা ছা়ড়া অন্য কোথাও পিকনিক করা যাবে না।’’ এই নিষেধ যাতে মানা হয় তার জন্য তার জন্য কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
বন দফতর ইতিমধ্যেই মাইথন জলাধার লাগোয়া বনাঞ্চলকে ‘নো-প্লাস্টিক জোন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ওই সব এলাকায় ডিজে-বক্স বাজানোও এ বার নিষেধ। বন দফতরের জেলা আধিকারিক মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘এই নিষেধগুলির কথা জানিয়ে আমরা মাইথনের সর্বত্র পোস্টার দিয়েছি। নিয়ম ভাঙলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’ খোলা আকাশের নীচে মদ্যপানে পুলিশি নিষেধ, প্লাস্টিক-থার্মোকলের ব্যবহার বন্ধ, এ সব নির্দেশিকাও থাকছে। পুলিশ-প্রশাসনের দাবি, বছর শুরুর মরসুমে কড়া নজরদারিও চালানো হবে।
কিন্তু এত কড়াকড়ি কেন? জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান, বছরের প্রথম দিনে লাগোয়া জেলা, এমনকী ভিন্-রাজ্য থেকেও বহু মানুষ এখানে বনভোজনে আসেন। এর সঙ্গে চলে, দামোদরে নৌকা-বিহার। তা করতে গিয়ে বা দামোদরে স্নান করতে নেমে অতীতে বারবার বিপত্তি ঘটেছে। গত বছরই মদ খেয়ে নৌকা-বিহারে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিলেন বিহারের বাসিন্দা, পেশায় এক ব্যাঙ্ক-কর্মী। এমন সব বিপত্তি এড়াতে জেলা প্রশাসন নৌকা-বিহারের সময়ে লাইফ জ্যাকেট পরাটা আবশ্যিক বলে জানিয়েছে। মদ্যপ যাত্রীকে নৌকায় না চাপাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মাঝিদেরও। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘পর্যটকদের নিরাপত্তার দিকটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy