—প্রতীকী ছবি
পুলিশ-প্রশাসনিক স্তরে রদবদলের ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রথমে সময়সীমা ধার্য করেছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। পরে সিদ্ধান্ত বদলে আরও আট দিন আগেই অর্থাৎ আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই যাবতীয় রদবদল প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে তারা। শনিবার এই মর্মে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব এবং মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও)-দের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছে কমিশন।
বদলির সময়সীমা কমানোয় ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। কারও কারও মতে, ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে এই বদলি প্রক্রিয়া সম্পর্কযুক্ত। সেই জন্যই নতুন সময়সীমা এক সপ্তাহ এগিয়ে নিয়ে এসেছে কমিশন।
গত চার বছরের মধ্যে তিন বছর এক জায়গায় কাজ করা প্রশাসনিক কর্তা ও পুলিশ অফিসারদের বদলি করার জন্য কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল গত ১৬ জানুয়ারি। বলা হয়েছিল, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রদবদল সাঙ্গ করে মার্চের প্রথম সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাতে হবে। কিন্তু ৯ ফেব্রুয়ারির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অফিসার বদল প্রক্রিয়া শেষ করে ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠাতে হবে।
২০১৭ সালের ৩১ মে-র আগে যে-সব অফিসার উপনির্বাচন পরিচালনা করেছেন, তাঁদেরও সরাতে বলেছে কমিশন। বদলি হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর ও পুরুলিয়ার জেলাশাসক, একাধিক অতিরিক্ত জেলাশাসক। অন্তত দেড়শো ডব্লিউবিসিএস অফিসারকে সরানো হয়েছে। বদলির পালা চলছে পুলিশের বিভিন্ন স্তরেও। বদলি প্রক্রিয়া রূপায়ণে রাজ্য
প্রশাসন এ বার অত্যন্ত সতর্ক। কারণ, যথাযথ ভাবে বদলি নীতি
কার্যকর না-হলে ভোট ঘোষণার পরে কমিশন এই ধরনের অফিসারদের সরালে রাজ্য সরকারের ‘ভাবমূর্তি’ ক্ষুণ্ণ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy