বছর দেড়েক আগে কলকাতার গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এনামুল হককে।—ফাইল চিত্র।
গরু পাচারের জন্য বিএসএফের এক অফিসারকে ৪৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে বছর দেড়েক আগে কলকাতার গ্রেট ইস্টার্ন হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। হাওয়ালার মাধ্যমে বাংলাদেশ, দুবাইয়ে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে এনামুল হক নামে মুর্শিদাবাদের সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সোমবার দিনভর তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
কলকাতার ১১টি জায়গায় বিভিন্ন সংস্থার দফতরে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ১৪ লক্ষ টাকা, হাওয়ালা কারবারের একগুচ্ছ ‘নোট নম্বর’, ফোন সেট, ল্যাপটপ আটক করা হয়েছে। রাজ্যের কয়েক জন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আইপিএস অফিসার এবং পাচারকারীর নাম উঠে এসেছে। আটক ফোন, ল্যাপটপ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে ইডি।
এনামুল এখন জামিনে মুক্ত। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার বেশ কয়েক জন প্রভাবশালী ব্যক্তির হয়েও হাওয়ালার কারবার চালাতেন তিনি। জেএইচএম রাইস মিলস প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থা খুলে বাংলাদেশ ও দুবাইয়ের সঙ্গে চাল রফতানির ব্যবসা করতেন ওই ব্যবসায়ী। সেই সংস্থার মাধ্যমেই দেশের টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে। ফেমা আইনে ওই সংস্থার বিরুদ্ধেই মামলা করছে ইডি। এ ছাড়াও প্রায় দেড়শোটি কাগুজে সংস্থার নামে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্যামাপ্রসাদ-নামে ক্ষোভ বাড়ছে, নিস্পৃহ তৃণমূল
ইডি সূত্রের দাবি, এ দিন বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে পাঁচটি, রাজারহাটে দু’টি, বড়বাজারের কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিটে দু’টি, মহাত্মা গাঁধী রোডে একটি এবং ক্লাইভ রো-এর একটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে হাওয়ালার বেশ কিছু ‘নোট নম্বর’। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, নোট নম্বর থেকেই জানা সম্ভব হবে, কার টাকা কোথায় পাচার করা হচ্ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy