ছবি: সংগৃহীত।
আনাজপাতির সঙ্গে ডিমও এখন অগ্নিমূল্য। তার ধাক্কা লাগছে মিড-ডে মিলেও। তাই সপ্তাহে তিন দিনের বদলে দু’দিন ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কুল-কর্তৃপক্ষ। সেই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করেই বিক্ষোভের মুখে পড়ল দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানার একটি অঙ্গনওয়াড়ি স্কুল। ডিম কমিয়ে দেওয়ায় জুলপিয়া পঞ্চায়েতে পানারলা গ্রামের ওই স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন অভিভাবকেরা।
রাজ্যের সমাজকল্যাণ দফতর সূত্রের খবর, অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে সপ্তাহে তিন দিন মিড-ডে মিলে অন্য খাবারের সঙ্গে ডিম দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু মাথাপিছু বরাদ্দ মাত্র ছ’টাকা। এখন একটি ডিমেরই দাম সাত টাকা। ফলে শুধু ডিম কিনতেই বরাদ্দের ছ’টাকার বেশি লাগছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অন্য খাবারের খরচ। সেই জন্যই সপ্তাহে তিন দিনের বদলে দু’দিন ডিম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর তাকে কেন্দ্র করেই গোলমাল।
অভিভাবকদের অভিযোগ, শুধু ডিম কমানো নয়। অন্যান্য সমস্যাও আছে। অত্যন্ত নোংরা পরিবেশে খাবার দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষিকা জয়ন্তী নস্কর অধিকাংশ সময়েই স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন। বেশির ভাগ দিন স্কুল বন্ধ রাখা হয়। এ-সবের প্রতিবাদেই এ দিন প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ডিমের বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘মাঝেমধ্যে হয়তো খাবারের সঙ্গে ডিম থাকে না। কিন্তু যত্নসহকারেই মিড-ডে মিল রান্না করা হয়।’’ রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘বিষয়টি জেনেছি। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।’’
অভিযোগ শুধু সমাজকল্যাণ দফতরের মিড-ডে মিল নিয়েই নয়। স্কুলশিক্ষা দফতর থেকে স্কুলে দুপুরে যে-খাবার দেওয়া হয়, তা নিয়েও অভিযোগ বিস্তর। নিম্ন মানের খাবার দেওয়া ও তালিকা মেনে যথাযথ খাবার দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ ওঠে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্প্রতি ব্যবস্থাও নিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। প্রতিদিন সব স্কুলকেই মিড-ডে মিলের হিসেব ওই দফতরে পাঠাতে হয়। তার পরে সেটা তোলা হয় ওয়েবসাইটে। গোটা রাজ্যে এই প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এ ছাড়া মিড-ডে মিলের মান যাচাইয়ের জন্য গড়া হয়েছে পরিদর্শক দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy