রোজভ্যালি কাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরী।—নিজস্ব চিত্র।
রোজভ্যালি মামলায় ধৃত ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীকে জেরাতে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর গোয়েন্দাদের।
সোমবার তাঁকে জেল হেফাজত থেকে বিশেষ ইডি আদালতে পেশ করা হয়। ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র আদালতে জানান, গ্রেফতারের পরে সুদীপ্তর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই নথি থেকে একাধিক নাম উঠে এসেছে, যাঁরা রোজভ্যালির সঙ্গে যুক্ত। সুদীপ্তর মাধ্যমে রোজভ্যালির টাকা পাচারের একটা বড় চক্রের হদিশ পাওয়া যাবে। সেই কারণে তাঁকে ১৮ দিনের জন্য ইডির হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে সওয়াল করেন অভিজিৎবাবু।
সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর আইনজীবী জামিনের আবেদন জানান। শেষ পর্যন্ত বিচারক সুদীপ্তকে পাঁচ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ইডি সূত্রে খবর, রোজভ্যালি মামলার তাদের আগের তদন্তকারী আধিকারিক মনোজ কুমারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুদীপ্ত। একই ভাবে সিবিআইয়ের কলকাতার এক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গেও তাঁর খুব ভাল যোগাযোগ ছিল।
আরও পড়ুন: সারদা-রোজভ্যালি তদন্তে গতি বাড়ছে নতুন করে, চাপে নজরে থাকা পুলিশকর্তারা
আরও পড়ুন: টানা ১৪ ঘণ্টা যৌন সম্পর্ক! বিলুপ্তির মুখে এই প্রাণী
জেরায় সিবিআই আধিকারিকদের রোজভ্যালি কর্তা বলেছিলেন, সুদীপ্ত তাঁর কাছ থেকে দু’কোটি টাকা নিয়েছিলেন সিবিআই মামলা ‘সেটিং’ করতে। ইডি গোয়েন্দাদের ইঙ্গিত, তাঁরা কিছু প্রমাণ পেয়েছেন যা থেকে স্পষ্ট যে কিছু ক্ষেত্রে তদন্ত প্রভাবিত হয়েছিল। সেই প্রভাবিত হওয়ার পেছনে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখবেন গোয়েন্দারা। এক ইডি আধিকারিক ইঙ্গিত দেন, রোজভ্যালির স্বর্ণ বিপণি অদ্রিজাকে তৎকালীন তদন্তকারী আধিকারিক তদন্তের বৃত্তে আনেননি। তাতে অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা পেয়েছিলেন গৌতম কুণ্ডু। সেই সুবিধা কেন পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল? সেই উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রের খবর, তাঁরাও এই ব্যবসায়ীকে নিজেদের হেফাজতে নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy