—ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতেই রাজ্যের পাঁচটি আসন নিয়ে হিসেবনিকেশ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পাঁচটির চারটি এখন তৃণমূলের হাতে। কাগজে-কলমে একটি বামেদের হলেও সংশ্লিষ্ট সাংসদ এখন ‘দলহীন।’
বিধানসভার শক্তির নিরিখে মেয়াদ ফুরনো চারটি রাজ্যসভা আসনে তৃণমূলের জয় কার্যত নিশ্চিত। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই চারটির মধ্যে অন্তত তিনটি আসনে নতুন মুখ আনতে পারে এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের গুরুত্ব দিতে পারে দল। যে চার সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাঁরা হলেন মণীশ গুপ্ত, যোগেন চৌধুরী, কে ডি সিংহ এবং আহমেদ হাসান ইমরান। তাঁদের মধ্যে কে ডি-র সঙ্গে তৃণমূলের আর কোনও যোগ নেই। ইমরানের সঙ্গেও দলের দূরত্ব স্পষ্ট। যোগেনবাবুকেও খুব সম্ভবত এ বার আর প্রার্থী করবে না দল। একমাত্র মণীশবাবুকেই ফের রাজ্যসভায় পাঠানোর কথা তৃণমূলের ভাবনায় রয়েছে।
রাজ্যসভায় তৃণমূলের নতুন প্রার্থী হিসাবে যাঁদের নাম ভাসছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী, রত্না দে নাগ, মৌসম বেনজির নূর। দীনেশবাবু ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। হুগলির প্রাক্তন সাংসদ রত্না এ বার লোকসভা ভোটে হেরে গিয়েছেন। তবে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় এবং সাংসদ হিসাবেও তিনি যথেষ্ট তৎপর ছিলেন। এ বার তাঁর সেই দক্ষতা রাজ্যসভায় কাজে লাগানোর কথা তৃণমূলের ভাবনায় আছে। মৌসমও প্রাক্তন সাংসদ এবং এ বার লোকসভা ভোটে হেরেছেন। সংখ্যালঘু মুখ হিসাবেও তাঁর বাড়তি গুরুত্ব আছে। আর এক জন প্রাক্তন মহিলা সাংসদের নামও চর্চায় আছে। তিনি অর্পিতা ঘোষ। তবে এত জন মহিলা মুখকে একসঙ্গে রাজ্যসভায় পাঠানো হবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে দলে।
আরও পড়ুন: পুরভোটের প্রস্তুতি, ২ মার্চ বৈঠক মমতার
পাশাপাশি অন্য দু’টি ‘ভারী’ নাম নিয়ে চর্চা চলছে। দুই সুব্রত— বক্সী এবং মুখোপাধ্যায়। সুব্রত বক্সী দলের রাজ্য সভাপতি এবং দক্ষিণ কলকাতার প্রাক্তন সাংসদ। এ বার লোকসভা ভোটে তিনি প্রার্থী হননি। তবে তিনি রাজ্যসভায় প্রার্থী হতে চাইবেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় বর্ষীয়ান মন্ত্রী এবং সংসদীয় রাজনীতিতে দক্ষ। তবে বয়স ও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মন্ত্রিত্বের ভার লাঘব করে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠালে তা সুব্রতবাবুর পক্ষে সম্মানজনক এবং দলের পক্ষে লাভজনক হবে বলে তৃণমূলের অনেকের অভিমত। আলোচনায় আছে কর্নেল দীপ্তাংশু রায়চৌধুরীর নামও।
যদিও এ সবই এখনও নিছক চর্চা। রাজ্যসভার প্রার্থীর ব্যাপারে তৃণমূলে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘সব ঠিক করবেন দলনেত্রী। এখনও অনেক সময় আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy