‘‘এখন ঘরে ঘরে ভয়। এমন আগে দেখিনি।’’ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গিরীশ পার্ক এলাকায় একটি কালীপুজোর উদ্বোধন করে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে মমতার কটাক্ষ, ‘‘বিপদে কাজে লাগতে পারে ভেবে মেয়েরা ঘরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে যেটুকু জমাত, সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারটাও এখন কেড়ে নিচ্ছে। ঘরের লক্ষ্মীরা এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও রাখতে পারে না। খালি ভয় কবে ইনকাম ট্যাক্স, সিবিআই আসবে, ঘর থেকে সেই ভাণ্ডারটাও কেড়ে নেবে!’’ কেন এ ভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে দিয়ে দেশের সর্বত্র ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগেও ইনকাম ট্যাক্স, সিবিআই, কাস্টমস, এক্সাইজ, সেলস ট্যাক্স, পুলিশ ছিল। কিন্তু এমন আগে দেখিনি! এখন তো যা ইচ্ছে তাই হচ্ছে। দেশে কোথাও খুনের পরিস্থিতি, কোথাওবা গুরুগম্ভীর পরিবেশ।’’
বিভিন্ন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি নাগাড়ে পদক্ষেপ করছে। সেই প্রসঙ্গের ইঙ্গিত দিয়েই ঘরে ঘরে ভয়ের পরিবেশের কথা বলার পাশাপাশি মমতার বক্তব্য, ‘‘ব্যবসায়ীদের ব্যবসা কেমন চলছে, জানতে চাইলে সামনে হয়তো কেউ কিছু বলবেন না। কিন্তু পিছনে তাঁরাই বলবেন, ব্যবসা ভাল চলছে না। ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। দোকানদারদেরও এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। এত ভয় দেখানো হচ্ছে যে ওঁরা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছেন।’’ মমতার অভিযোগ, শুধু আর্থিক সঞ্চয় বা লেনদেনের ক্ষেত্রেই যে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি নজরদারি চালাচ্ছে, তাই নয়। কোনও কমিটিতে আরএসএস-এর লোককেও সদস্য করতে হবে বলে এজেন্সিগুলি ফোন করে চাপ দিচ্ছে। না শুনলেই ভয় দেখানো হচ্ছে। এর জবাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহর প্রতিক্রিয়া, ‘‘নোটবন্দির সময়ে মুখ্যমন্ত্রী এ সব রেকর্ড বাজিয়েছিলেন। আবার বলছেন মানে তিনি পুরনো শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি। নিজেদের দুর্নীতি এ সব বলে ঢাকা যায় না!’’
আরও পড়ুন: গুজরাতে বিহারি খেদাও হচ্ছে, অসমে বাঙালি খেদাও হচ্ছে: মমতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy