Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ছুটল এক্সপ্রেস, উচ্ছ্বাস বাঁকুড়ায়

নানা কাজে প্রায়ই রেলপথে কলকাতায় যান এই জেলার বহু মানুষ। তবে বেলার দিকে হাওড়া থেকে বিকেল সওয়া চারটের আগে (পুরুলিয়া এক্সপ্রেস) সরাসরি বাঁকুড়া ফেরার কোনও ট্রেন ছিল না। এ জন্য স্বভাবতই ওই ট্রেনে তুমুল ভিড়ও হতো।

হাওড়া থেকে শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া স্টেশনে এসে পৌঁছল হাওড়া-রাঁচী এক্সপ্রেস। নিজস্ব চিত্র

হাওড়া থেকে শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া স্টেশনে এসে পৌঁছল হাওড়া-রাঁচী এক্সপ্রেস। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:১১
Share: Save:

সকাল সকাল যাওয়ার ট্রেন থাকলেও হাওড়া থেকে কাজ সেরে দ্রুত ফেরার ব্যবস্থা ছিল না। যা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই ক্ষোভ ছিল বাঁকুড়াবাসীর মধ্যে। পুজোর মুখে রেলের দেওয়া উপহারে সেই সমস্যা মিটে গেল।

রবিবার থেকেই চালু হল হাওড়া থেকে বাঁকুড়া হয়ে রাঁচী যাওয়ার এক্সপ্রেস ট্রেন। এ দিন সকালে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুজোর মধ্যেও বিভিন্ন মহলে এখন নতুন ট্রেনই আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছে।

নানা কাজে প্রায়ই রেলপথে কলকাতায় যান এই জেলার বহু মানুষ। তবে বেলার দিকে হাওড়া থেকে বিকেল সওয়া চারটের আগে (পুরুলিয়া এক্সপ্রেস) সরাসরি বাঁকুড়া ফেরার কোনও ট্রেন ছিল না। এ জন্য স্বভাবতই ওই ট্রেনে তুমুল ভিড়ও হতো। তাই পুরুলিয়া এক্সপ্রেসের আগে হাওড়া থেকে বাঁকুড়াগামী আরও একটি ট্রেনের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই তুলে আসছিলেন জেলার যাত্রীরা। অবশেষে মাঝের ওই ফাঁকা সময়ের মধ্যে সপ্তাহে তিন দিন (সোম, মঙ্গল, বুধ) নতুন ট্রেন চালু করল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। হাওড়া স্টেশনে বিকেল তিনটে নাগাদ ছাড়বে ট্রেনটি। যদিও আপাতত পরীক্ষা মূলক ভাবে ট্রেনটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে ইউজার্স অর্গানাইজেশনের তরফে ইতিমধ্যেই ট্রেনটিকে স্থায়ী করা ও সপ্তাহে সাত দিনই চালানোর দাবি তোলা হয়েছে। সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক দেবু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত ট্রেনটিকে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। কোনও ভাবেই এই ট্রেন আর বন্ধ করতে দেওয়া যাবে না। এ ছাড়াও সপ্তাহে তিন দিনের পরিবর্তে সাত দিনই ওই ট্রেন চালানোর দাবিও তুলছি আমরা।’’ তিনি জানাচ্ছেন, এই দাবিগুলি নিয়ে শীঘ্রই রেলের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

বাঁকুড়ার সঙ্গীত শিল্পী জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, দিলীপ নাগরা বলেন, ‘‘হাওড়া থেকে ফেরার ট্রেন ধরার জন্য বিকেলের অপেক্ষায় বসে থাকতে হয়। তাও আবার একটিই মাত্র এক্সপ্রেস ট্রেন হওয়ায় ভিড়ের চাপে কামরায় পা ফেলা যায় না। এই ট্রেনটি চললে সেই সমস্যা অনেকটাই মিটবে।’’

বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামের মানুষও দাবি করছেন ট্রেনটিকে নিয়মিত চালু রাখার জন্য। বাঁকুড়ার আঁচুড়ি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় গাড়ি চালক বাপি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরুলিয়া এক্সপ্রেস বাঁকুড়া স্টেশনে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত প্রায় ন’টা বেজে যায়। এর ফলে বাঁকুড়ায় নেমে গ্রামে ফেরাটা আমাদের কাছে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই ট্রেনটি সন্ধ্যা সাতটার মধ্যেই বাঁকুড়ায় ঢুকে পড়বে। ফলে আমাদের সমস্যাও মিটবে।’’

আদ্রা রেল বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যাত্রীদের চাহিদার বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবেই ট্রেনটি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি স্থায়ী ভাবে চালানোর বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE