Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Kolkata Police

জনজীবন সচল রাখতে রাস্তায় নামবে অতিরিক্ত বাহিনী

সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খোলা রাখার। কিন্তু তার মধ্যেও কলকাতার একটি নামী বেসরকারি স্কুলের গোষ্ঠী তাঁদের তিনটি স্কুলেই ছুটির ঘোষণা করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

রাস্তায় নামবে অতিরিক্ত পুলিশ। ফাইল চিত্র।

রাস্তায় নামবে অতিরিক্ত পুলিশ। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:২৪
Share: Save:

বিজেপি-র ডাকা বাংলা বন্‌ধে জনজীবন সচল রাখতে হবে। বন্‌ধ নিয়ে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বিশেষ বৈঠকে তেমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিগোষ্ঠীর ওই বৈঠকে ডিজি-সহ শীর্ষ পুলিশ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জনজীবন সচল রাখতে তাই বুধবার রাস্তায় থাকবে ৪ হাজারেরও বেশি অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।

কলকাতা পুলিশ এলাকায় রাস্তায় থাকবেন ২১ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার। সারা শহর জুড়ে, বাজার, অফিসের মতো জায়গায় বন্‌ধ সমর্থকরা যাতে কোনও ভাবে জোরজুলুম না করতে পারে সে জন্য বিশেষ পুলিশ পিকেটের ব্যবস্থা থাকবে। সব মিলিয়ে শহরের ৪২৭টি জায়গায় পিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সারা শহর টহল দেবে বিশেষ বাহিনী। থাকবে ডিভিশনাল মোবাইল বাহিনীও।

কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সুপ্রতীম সরকার জানিয়ে দেন, জোর করে বন্‌ধ করার চেষ্টা করলে কড়া হাতে দমন করবে পুলিশ। কোনও ধরনের জোরজুলুম বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ‘পুলিশ গাড়ির ভিতর থেকে গুলি চালিয়েছে’

শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপারদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা থাকে। সব জেলাতেই অতিরিক্ত বাহিনী পথে নামবে। রাস্তাঘাটে যান পরিষেবা সচল রাখার ক্ষেত্রে যেমন বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে তেমনি পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, সারা রাজ্যে ২ হাজার ৬০০ বাস চালানো হবে। থাকবে ৬০টি লঞ্চ। পরিবহণ দফতর আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, বন্‌ধে যদি কোনও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার ক্ষতিপূরণের জন্য থাকছে ৭৫ হাজার টাকার বিমা। গাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতর।

আরও পড়ুন: ‘বদলা আমরা নেবই’, হেমতাবাদের জনসভা থেকে পুলিশকে হুমকি দিলীপের

সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খোলা রাখার। কিন্তু তার মধ্যেও কলকাতার একটি নামী বেসরকারি স্কুলের গোষ্ঠী তাঁদের তিনটি স্কুলেই ছুটির ঘোষণা করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমস্ত বেসরকারি স্কুলকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল ছুটি না দিতে।’’ তার পরেও বুধবারের বন্‌ধ ঘিরে গন্ডগোল হতে পারে এমন আশঙ্কায় অনেক স্কুলই খোলা রাখার ব্যাপারে দ্বিধায়।

সব মিলিয়ে বুধবার বিজেপি-র বন্‌ধ ব্যর্থ করতে রাজ্য প্রশাসন মরিয়া। অন্য দিকে, পাল্টা বিজেপিও তৈরি তাঁদের ডাকা বন্‌ধ সফল করতে।

(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE