Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ধর্মের নামে লাঠিচর্চা চলবে না স্কুলে: পার্থ

বিধানসভায় এ দিন স্কুলশিক্ষা খাতের বাজেট নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় যোগ দিয়ে সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন এক সময়ে সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান, রাজ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস পরিচালিত স্কুলের সংখ্যা ঠিক কত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:২৯
Share: Save:

এ রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে উগ্র ধর্মান্ধতাকে কোনও মতেই ঢুকতে দেওয়া হবে না। এই ধরনের কোনও রকম চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে যথোচিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার বিধানসভায় জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

বিধানসভায় এ দিন স্কুলশিক্ষা খাতের বাজেট নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় যোগ দিয়ে সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন এক সময়ে সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চান, রাজ্যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস পরিচালিত স্কুলের সংখ্যা ঠিক কত।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন (ইউডাইস) থেকে তাঁরা এ-পর্যন্ত ৪৯৩টি স্কুলের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তদন্ত চলছে। তার মধ্যে ১২৫টি স্কুলের কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ‘নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট’ নেননি। সেই শংসাপত্র নেই বলেই যে ওই সব স্কুল চালাতে দেওয়া যাবে না, সেটা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সব স্কুলের কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি স্কুল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা এই নিয়ে আদালতে তো লড়াই করছিই। প্রয়োজন হলে সুপ্রিম কোর্টেও যাব। ধর্মের নামে সুড়সুড়ি দিয়ে লাঠিচর্চা করার জন্য স্কুল নয়। এটা আমরা কোনও অবস্থাতেই হতে দেব না।’’

এই ধরনের স্কুল উত্তরবঙ্গেই সব থেকে বেশি রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী জানান। পরে নিজের ঘরে বসে পার্থবাবু অভিযোগ করেন, বাম আমলেই এই ধরনের বেশির ভাগ স্কুল তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ‘নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট’ না-থাকায় চিহ্নিত ১২৫টি স্কুলের মধ্যে সব থেকে বেশি স্কুল আছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। সংখ্যাটা ৮০। উত্তর দিনাজপুরে এই ধরনের স্কুলের সংখ্যা ১৩। কোচবিহারে ১০। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে এই ধরনের ছ’টি করে স্কুল আছে। শিলিগুড়িতে আছে পাঁচটি। নদিয়ায় দু’টি। একটি করে স্কুল আছে হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদেও।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোনও স্কুল যদি উগ্র ধর্মান্ধতা দেখায়, সেই বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু, মুসলিম বলে কোনও কথা নেই। বাংলায় যারা এই ধরনের ভেদাভেদ করবে, অভিযোগ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE