যারা রাজ্য সরকারের গ্রুপ-ডি চাকরির পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁরা যে কোনও সময় বড়সড় প্রতারণার শিকার হতে পারেন।
২০১৫ সালে গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগের জন্য আলাদা নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়। প্রতি বছরেই নিয়োগের পরীক্ষা হয়। সেই রেজাল্ট এই বোর্ড তাদের নিজস্ব সাইটের মাধ্যমে জানিয়ে থাকেন।
আর সেই সাইট ঘিরেই তৈরি হয়েছে প্রতারণার ছক। ২০১৭ সালে গ্রুপ ডি-র চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ১৮ লাখ পরিক্ষার্থী। সেখান থেকে ৮৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পর ১৮ হাজারের কিছু বেশি পরীক্ষার্থীকে বেছে নেওয়া হয় ইন্টারভিউ-এর জন্য।
নিয়োগ বোর্ডের আসল সাইটটি।
কয়েক দিনের মধ্যেই সফল পরীক্ষার্থীদের সেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা।
জুন মাসের ২৯ তারিখ পশ্চিমবঙ্গ গ্রুপ-ডি নিয়োগ বোর্ডের সচিব বিধাননগর পুলিশের কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, তাঁরা খবর পেয়েছেন, সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটের হুবহু নকল একটি সাইট তৈরি হয়েছে।
রাজ্য সরকারি সংস্থা ওয়েবেলের তৈরি নিয়োগ বোর্ডের আসল সাইটটি হল wbgdrb.in। কিন্তু হুবহু নকলটির ঠিকানা wbgdrb.org।
এটুকু পার্থক্য ছাড়া আর কোনও ফারাক নেই দু’টি সাইটে। আর পার্থক্য বলতে— নকলটির ডান দিকে সবুজ রঙের প্যানেল। যাতে লেখা রয়েছে —“ডাউনলোড ইওর ইন্টারভিউ কল লেটার”।
নিয়োগ বোর্ডের নকল সাইটটি।
নিয়োগ বোর্ডের সচিবের আশঙ্কা, এই নকল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে প্রতারণার উদ্দেশ্যে। বিধাননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা ইতিমধ্যেই বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছাবসরে রাজ্যের প্রবীণতম আইপিএস
প্রাথমিক ভাবে তাঁরা জানতে পেরেছেন, মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সার্ভারে নথিভুক্ত হয়েছে এই ভুয়ো সাইট। ২০১৬ সালে নথিভুক্ত করা হয় এটি। এক তদন্তকারী অফিসারের দাবি, এ ক্ষেত্রে বোর্ডের প্রাক্তন বা বর্তমান কর্মীদের যোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের মামলায় জামিন পেয়েও বিয়ে পণ্ড মিঠুনের ছেলের
নিয়োগ বোর্ডের এক শীর্ষ আধিকারিকের সন্দেহ, এই সাইটের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ইন্টারভিউয়ের জাল চিঠি পেয়েছেন অনেক পরীক্ষার্থী। আর সেই একই ভাবে তাঁদের মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নিয়োগ পত্র দেওয়া হচ্ছে।
ওই আধিকারিকের দাবি, এই প্রতারণা ঠেকানোর জন্যই তাঁরা গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy