হাতে উঠে এল রং-তুলি। শুক্রবার ফরাক্কায়। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
তাঁর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল ‘সমান্তরাল’ প্রশাসন চালানোর। ফরাক্কার কলেজে গিয়ে ইজেলে ছবি এঁকে এ বার সাংস্কৃতিক মনস্কতার প্রশ্নেও মুখ্যমন্ত্রীর ‘সমান্তরাল’ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল বলে মনে করছে স্থানীয় তৃণমৃল নেতৃত্ব।
কবিতা-গান কিংবা ছবি আঁকায় এত দিন একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন প্রায় একই ভঙ্গিতে স্বতস্ফূর্ত ভাবে ছবি এঁকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলছেন, ‘‘কেমন হল?’’
শুক্রবার কলকাতা থেকে প্রায় তিনশো কিলোমিটার সড়ক পথ ভেঙে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে আসেন রাজ্যপাল। কলেজ ঢুকেই প্রবেশপথে ‘চিত্রকলা’ প্রদর্শনী চলছিল। সামনেই রাখা ছিল একটি খোলা ইজেল, রং-তুলি।
সেখানে গিয়ে ফরাক্কার এনটিপিসি হাইস্কুলের অঙ্কনের শিক্ষক অভিজিৎ রায়চৌধুরী রাজ্যপালের হাতে রং তুলি তুলে দিতেই আঁকতে শুরু করেন তিনি। ক্যানভাস জুড়ে আঁকতে থাকেন একটি বাচ্চা মেয়ের মুখ। তাঁর আঁকা ছবিতেই ওই চিত্রকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়।
অভিজিৎ বলেন, ‘‘সব মানুষের মধ্যে শিল্পসত্তা রয়েছে। শিল্পীদের কাজ হল মানুষের সেই সত্তাটিকে বের করে আনা। আর সে কথা মাথায় রেখে রাজ্যপালকে দিয়ে ছবি আঁকার অনুরোধ করেছিলাম। উনি রাজি হয়ে গেলেন।’’
এ দিন ক্যানভাসের সামনে দাঁড় করিয়ে রাজ্যপালকে অভিজিৎ অনুরোধ করেন, ‘‘স্যর রং-তুলি দিয়ে একটু আঁচড় কেটে দিন।’’ রাজ্যপাল দাঁড়িয়ে পড়ে একটি বাচ্চা মেয়েকে এঁকে ফেলেন। অভিজিৎ বলছেন, ‘‘আমার তো মনে হল উনি রীতিমতো আঁকতে পারেন। না হলে এত দ্রুত আঁকলেন কী করে!’’ রাজ্যপালের আঁকা ছবিটি প্রদর্শনীতেই রাখা হয়েছে। সেই ছবির নীচে হিন্দিতে তাঁর নাম ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy