সরকারি খরচ সামলাতে অগ্রিম নেওয়া বিধিসম্মত। তবে সেই অগ্রিম নেওয়া টাকার হিসেব ৬০ দিনের মধ্যে দেওয়ারও নিয়ম আছে অর্থ দফতরের। নবান্নের খবর, রাজ্যের ৫১টি দফতর অনেক ক্ষেত্রেই সেই নিয়ম মানছে না। অগ্রিম নেওয়ার দু’বছর পরেও বিল-ভাউচার দিয়ে তার হিসেব বুঝিয়ে দিতে পারেনি বিভিন্ন দফতর। এই টাকার পরিমাণ ২০৯৮ কোটি। অর্থ দফতর জানাচ্ছে, ৫৩৯৫ বার অগ্রিম নিয়ে ওই টাকার হিসেব দাখিল করেনি দফতরগুলি।
এই অবস্থায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে অর্থ দফতর। সম্প্রতি বিভিন্ন দফতরে পাঠানো এক নির্দেশে অর্থ দফতর বলেছে, অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট দফতরের ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসবার্সিং (ডিডিও) অফিসারদের অগ্রিমের টাকার হিসেব পেশ করতে হবে। খরচ না-হওয়া টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে রাজকোষে। নইলে সংশ্লিষ্ট ডিডিও-দের অগ্রিম দেওয়ার বা বিল তৈরি করার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
নবান্নের খবর, অগ্রিম নেওয়া ২০৯৮ কোটির মধ্যে ১২০৭ কোটি ৮১ লক্ষ টাকা দু’বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে রয়েছে। যে-সব দফতর এই অগ্রিম নিয়েছে, তার হিসেব এখনও জমা পড়েনি। এক বছরের বেশি, কিন্তু দু’বছরের কম সময়ে অগ্রিম নিয়ে ২২৮ কোটি ৮৪ টাকার হিসেব জমা দেয়নি বিভিন্ন দফতর। ছ’মাসের বেশি সময় ধরে হিসেব না-পাওয়া অগ্রিম ৩০৭ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। অর্থ দফতরের নিয়ম অনুযায়ী অগ্রিম টাকা নেওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই হিসেব পেশ করার কথা। সেই সময়সীমার মধ্যে বিভিন্ন দফতরের বকেয়া অগ্রিমের পরিমাণ ২৫৬ কোটি টাকা।
কোন কোন ক্ষেত্রে অগ্রিম নিতে হয়? অর্থ দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি কাজে বিল তৈরি হয় কাজ শেষ হওয়ার পরে। কাজ শেষে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট বা সদ্ব্যবহার শংসাপত্র পেলে তবে বিলের টাকা ছাড়েন ডিডিও-রা। নিয়ম অনুযায়ী খুবই জরুরি কোনও ঘটনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে অগ্রিম হিসেবে কোষাগার থেকে টাকা দেওয়া হয়। অর্থকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া অগ্রিম তোলা অনুচিত হলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে দফতরগুলি অগ্রিম তুলেই কাজ করছে। অথচ হিসেব দিচ্ছে না। তার ফলেই সব মিলিয়ে অগ্রিম নেওয়া ২০৯৮ কোটি টাকার হিসেব অর্থ দফতরে জমা পড়েনি।
নবান্ন সূত্রের খবর, বিপর্যয় মোকাবিলা, পঞ্চায়েত, স্বরাষ্ট্র, পার্বত্য বিষয়ক, ভূমি ইত্যাদি দফতর অগ্রিম নেওয়ার ক্ষেত্রে সব চেয়ে এগিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy