—ফাইল চিত্র।
রাজ্যের আটটি সেন্ট্রাল জেলের জন্য ৪৯১টি অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র কেনা হয়েছিল গত বছরের ৫ জানুয়ারি। কিন্তু এ-পর্যন্ত সেগুলো ব্যবহার করা হয়নি। যন্ত্রগুলোর হাল যে খতিয়ে দেখা দরকার, সেই বিষয়ে সরকারের টনক নড়েছে দেড় বছর পরে!
অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রগুলি কী অবস্থায় আছে, তা যাচাইয়ের জন্য বুধবার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের কারা দফতর। দফতরের পদস্থ কর্তাদের পাঠানো ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, জেলের অগ্নি-নির্বাপণ যন্ত্রগুলির কার্যক্ষমতা খতিয়ে দেখে দফতরে রিপোর্ট পাঠাতে হবে সংশোধনাগার-কর্তৃপক্ষকে। তার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কারা দফতর। অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রগুলির ক্ষমতা পরীক্ষা করবেন দমকলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক-কর্মীরা। সংশোধনাগার-কর্তৃপক্ষকেই তার ব্যবস্থা করতে হবে। এ দিন দফতরের নির্দেশ আসার পরে দমকলকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বিভিন্ন জেলের কর্তৃপক্ষ।
কেনার কয়েক দিনের মধ্যে বিভিন্ন সংশোধনাগারে ওই সব যন্ত্র লাগানো হলেও সেগুলোকে কাজে লাগানো হয়নি। তাই সেগুলোর কার্যক্ষমতা খতিয়ে দেখা দরকার
বলে মনে করছেন কারাকর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, কখনও প্রয়োজন পড়লে যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না-হয়, তার জন্য প্রস্তুতি সেরে রাখা উচিত। সেই প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবেই দফতরের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন কারাকর্তাদের একটি অংশ। অন্য এক দল কারাকর্তার বক্তব্য, আবার কিছু অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র কেনা হতে পারে। আগের যন্ত্রগুলির অবস্থা কী, তা দেখার পরে নতুন ক’টি যন্ত্র প্রয়োজন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ‘‘সব কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আবাসিকদের জন্যই বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এটা তারই অঙ্গ,’’ বলেন কারা দফতরের এক কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy