প্রতীকী ছবি।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে পরপর দুর্ঘটনার পরে পুলিশের নজরদারি বেড়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ঠেকানো যাচ্ছে না দুর্ঘটনা। তার ফের প্রমাণ মিলল রবিবার। দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে গাড়ি ধাক্কা মারায় মৃত্যু হল দমকলের এক কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে, দেবদূত মণ্ডল (৩২) নামে ওই কর্মী চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে দমকলের সদর দফতরে লিডার পদে কর্মরত ছিলেন। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন দেবদূতবাবুর মা-ও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দিন আগে নিজের গাড়িতে স্ত্রী, মা, পাঁচ বছরের মেয়ে ও পরিচরিকাকে নিয়ে জয়রামবাটী এবং কামারপুকুর বেড়াতে গিয়েছিলেন দেবদূতবাবু। রবিবার সকালে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। সকাল ৮টা নাগাদ গুড়াপের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। দেবদূতবাবুই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনায় দুমড়ে যায় গাড়িটি। আরোহীদের সকলেই জখম হন।
সকলকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দেবদূতবাবু, তাঁর স্ত্রী দেবলীনা মণ্ডল দে (২৬) এবং মা চন্দ্রিমা দে (৬২)-কে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। দেবদূত এবং দেবলীনার বছর পাঁচেকের মেয়ে ঋজুতা এবং বাড়ির পরিচারিকা মায়া ভুঁইয়াকে পরে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। দেবদূতবাবুর বাড়ি মুচিপাড়া থানা এলাকার গোকুল বড়াল স্ট্রিটে।
কী ভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ট্রাকটির চাকা পাংচার হয়ে যাওয়ায় সেটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দেবদূতবাবু গাড়ি চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সে কারণেই তিনি খেয়াল করেননি, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে লরিটি। তাতেই ঘটে গিয়েছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy