ফাইল চিত্র।
৯০ দিনের মধ্যেও চার্জশিট পেশ হয়নি। তাই জামিন পাওয়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। ভাগাড় কাণ্ডে পাঁচ অভিযুক্ত জামিন পেয়ে গেলেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বিশ্বনাথ ঘোড়ুই। বুধবার আলিপুর এসিজেএম আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে। স্বাভাবিক ভাবেই নানা মহলে সিআইডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যে ভাগাড় কাণ্ড নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়ে উঠেছিল, এখনও বিভিন্ন জায়গা থেকে পচা মাংস উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে, এই রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি মামলায় প্রাথমিক চার্জশিট দিতেও কেন এত দেরি হল, তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আদালত সূত্রে খবর, ঘটনার তিন মাস পার হতেই আলিপুর এসিজেএম আদালতে জামিনের আর্জি জানান অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। ভারতীয় ফৌজদারি বিধি অনুযায়ী, কোনও মামলায় গ্রেফতারের ৯০ দিনের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট আদালতে জমা না দিলে সেই অভিযুক্তের জামিনে আর কোনও বাধা থাকে না। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। জামিন পেয়ে গিয়েছেন পাঁচ অভিযুক্ত।
ভাগাড়ে ফেলে দেওয়া মরা পশুর মাংস পাচারের সময় হাতেনাতে দু’জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত ১৯ এপ্রিলের ওই ঘটনায় হাতেনাতে দু’জনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের জেরা করে উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যায়, ভাগাড়ের ওই সব মাংস শহর কলকাতার বিভিন্ন হোটেল রেস্তরাঁয় সরবরাহ করা হত। ফ্রোজেন মাংস হিসেবে বিক্রির জন্য যেত বিভিন্ন শপিং মলেও। ওই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে তিন জনকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার থানা।
আরও পড়ুন: নগ্ন ছবি দেখিয়ে ‘প্রেমিকার’ ব্ল্যাকমেল, আত্মঘাতী সোনারপুরের তরুণ
এর পর ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। ধৃতদের জেরা করে কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করেন রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মোট ১২ জন গ্রেফতার হয়। কিন্তু তার পর থেকে ধীর ধীরে মামলা থিতিয়ে যায়। সরাসরি যোগ না থাকায় গ্রেফতারের কিছুদিনের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান বজবজ থেকে ধৃত দুই অভিযুক্ত। কয়েক দফা পুলিশ এবং জেল হেফাজতের পর সম্প্রতি আরও চার জন জামিন পেয়ে যান। আর বুধবার জামিন পেলেন মূল অভিযুক্ত বিশ্বনাথ ঘোড়ুই-সহ আরও পাঁচ জন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা বিভ্রাটের অভিযোগ
কিন্তু কেন সিআইডি চার্জশিট দিতে পারল না। সংস্থার আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, পচা মাংসের ফরেনসিক রিপোর্ট সময়মতো পাওয়া যায়নি। বেলগাছিয়া ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে জানানো হয়েছিল, পাঠানো নমুনা এতটাই পচে গিয়েছিল যে তা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আবার পচা মাংস কিনেছেন এমন কোনও অভিযোগকারীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। কারণ ওই মাংস যে বা যাঁরা কিনেছেন, তাঁরাও পচা মাংসের কারবারের সঙ্গে যুক্ত ধরে নিয়ে অভিযুক্ত হবেন। তাই কেউ সামনে আসেননি। এই সব কারণেই ৯০ দিনের মতো চার্জশিট দেওয়া সম্ভব হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy