Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

অতিথিকে ফুটবলের শহর চেনাবে বন্ধু

চিলে, ইংল্যান্ড, ইরাকের ফুটবলারেরা ইতিমধ্যেই কলকাতায় হাজির। মেক্সিকোও দু’এক দিনের মধ্যে এসে পড়বে। চার দেশের ফুটবলারদের সঙ্গেই আসছেন কয়েক হাজার সমর্থক।

প্রস্তুতি: সেজে উঠেছে যুবভারতী। নিজস্ব চিত্র

প্রস্তুতি: সেজে উঠেছে যুবভারতী। নিজস্ব চিত্র

অত্রি মিত্র
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪২
Share: Save:

ফুটবল-মহোৎসব তো দেখবেনই, বিদেশি বন্ধু। কিন্তু ফুটবলের শহরটা ঘুরে দেখবেন না?

‘পুজোর শহর’ বদলে যাচ্ছে ‘যুব বিশ্বকাপ ফুটবলের শহরে’। সেই সাজ-বদলের ফাঁকেই সাত সাগর পারে ডাক পাঠাচ্ছে কলকাতা। যে ডাক বলছে— ‘ফুটবল দেখতে দেখতে কলকাতাকে দেখার ইচ্ছে হলে কোনও চিন্তা নেই। আপনাকে শহর ঘুরিয়ে দেখাবে আমাদের অতিথি-বন্ধু।’

চিলে, ইংল্যান্ড, ইরাকের ফুটবলারেরা ইতিমধ্যেই কলকাতায় হাজির। মেক্সিকোও দু’এক দিনের মধ্যে এসে পড়বে। চার দেশের ফুটবলারদের সঙ্গেই আসছেন কয়েক হাজার সমর্থক। এই বিদেশিদের কাছে টেনে কলকাতার পর্যটনকে জনপ্রিয় করতে এখন মরিয়া রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: দিলীপের সফর নিয়ে কি নতুন চাপে গুরুঙ্গরা

আর সেখানেই রাজ্যের নতুন অস্ত্র— ‘অতিথি-বন্ধু’। এঁরা আসলে হসপিটালিটি এবং ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টের বাছাই করা শ’দুয়েক পড়ুয়া। যাঁদের তৈরি করা হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে। কলকাতায় এলে কালীঘাট মন্দির, ভিক্টোরিয়া, জাদুঘর— এ সব ঘুরে দেখেন অনেকেই। আবার এর বাইরেও রবীন্দ্রনাথ-টেরিজা-সত্যজিতের শহরকে চিনতে চান কেউ কেউ। রাজ্য পর্যটন দফতরের সচিব অত্রি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অতিথি-বন্ধুরা বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে যাবেন তাঁদের পছন্দসই সাবেক কলকাতার নানা জায়গায়।’’

অতিথি-বন্ধুরা সকলেই ইংরেজিতে স্বচ্ছন্দ। গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন থেকে স্প্যানিশ, পর্তুগিজ ও জার্মান ভাষায় কথা বলার প্রাথমিক পাঠও তাঁদের দেওয়া হয়েছে। নাম, ই-মেল আইডি-সহ অতিথি-বন্ধুদের যাবতীয় তথ্য দেওয়া থাকছে রাজ্য পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে। সেখানেই যোগাযোগ করে কথাবার্তা আগাম সেরে রাখতে পারবেন বিদেশিরা। গোটা বন্দোবস্তের অবশ্যই কিছু খরচ রয়েছে। একই ভাবে সাম্মানিক পাবেন অতিথি-বন্ধুরাও।

রাজ্য প্রশাসনের ধারণা, গ্রুপ পর্বের খেলা চলার সময়ে কলকাতায় দৈনিক গড়ে ৩ হাজার পর্যটক থাকবেন। ফাইনালের সময়ে তা ১০ হাজার ছাড়াবে। এঁরা কোথায় উঠবেন, তা নিয়ে একটা চিন্তা থাকছেই। তবে পর্যটন-কর্তারা জানাচ্ছেন, পাঁচতারা হোটেলগুলি তো রয়েইছে। ধর্মতলার আশপাশের হোটেলগুলিকেও তৈরি রাখা হচ্ছে। বিশ্বকাপ শেষ হলে? কর্তারা জানাচ্ছেন, অতিথি-বন্ধুদের কাজ ফুরোবে না। কলকাতায় বিদেশিদের আনাগোনা লেগেই থাকে। বড়দিনে তা আরও বাড়বে।

ডাক পাঠানো তাই চলবেই— ‘হে বিদেশি এসো এসো।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE