উদ্ধার হওয়া মৃত প্যাঙ্গোলিন। —নিজস্ব চিত্র
নেপালে পাচার হওয়ার আগেই বিলুপ্তপ্রায় একটি মৃত প্যাঙ্গোলিন-সহ গ্রেফতার ৭ জন।পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থেকে তাদের গ্রেফতার করেন বন দফতরের গোয়েন্দারা। উদ্ধার করা হয়েছে একটি এসইউভি গাড়িও। গোয়েন্দাদের দাবি, ওড়িশা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল এই প্যাঙ্গোলিনটি। ধৃতরা সবাই ওই রাজ্যেরই বাসিন্দা।
বেশ কিছু দিন ধরেই বন দফতরের কাছে খবর আসছিল যে, একটি আন্তঃরাজ্য প্যাঙ্গোলিন পাচারচক্র মেদিনীপুরকে রুট হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে। সেই সূত্র থেকেইগোয়েন্দারা খবর পান, বৃহস্পতিবার রাতে একটি ‘ডিল’ হওয়ার কথা। সেই মতো রাত থেকেই দাঁতনে রাস্তায় অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা।
সন্দেহভাজন গাড়িটি আসতেই সেটিকে আটকান বন দফতরের কর্মীরা। গাড়ির মধ্যে থেকে বস্তা বন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয় প্যাঙ্গোলিনটি। কিন্তু দেখা যায়, বস্তার মধ্যে রাখা প্যাঙ্গোলিনটির মৃত্যু হয়েছে। গ্রেফতারের পর সল্টলেকের বন দফতরে নিয়ে আসা হয় ধৃতদের।
উদ্ধার হওয়া মৃত প্যাঙ্গোলিনের সঙ্গে ধৃতরা। —নিজস্ব চিত্র
আরও পড়ুন: ছবি এঁকে রোজগার করলেও চোর! তোপ মমতার, ভাবনায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও
প্রাথমিক তদন্তে বন দফতরের কর্তারা মনে করছেন, ওই প্যাঙ্গোলিনটাকে ওড়িশা থেকে মেদিনীপুর হয়ে বিহার দিয়ে নেপালের কোনও চক্রের কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। সেখান থেকে চিনে পাচারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। কারণ, চিনে প্যাঙ্গোলিনের আঁশের ব্যাপক চাহিদা। সেখানে ওষুধ তৈরিতে এই প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাঙ্গু-নাথুলাতে বরফ, জাঁকিয়ে শীত পড়ছে দার্জিলিঙেও
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)
বন দফতর সূত্রে খবর, আগে শিলিগুড়ি হয়ে এই প্যাঙ্গোলিনগুলি পাচার হত। কিন্তু এটি পরিচিত করিডর বলে সেখানে কড়া নজরদারি রয়েছে। বেশ কয়েক বার হাতেনাতে ধরা পড়েছে কয়েকটি চক্র। সে কারণেই এবার মেদিনীপুর-বিহার-নেপালের করিডর বেছে নিয়েছে পাচারকারীরা। এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা।
দুই বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, 'বাংলার' খবর পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy